গর্ভবতীরা কী কী নিয়ম মানলে সুস্থ থাকবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
বর্ষার সময়ে সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। বিভিন্ন রোগ রোগ-জীবাণুর প্রকোপও বাড়ে। তাই এই সময়টাতে একটু বেশিই সাবধান থাকতে বলা হয়। বিশেষ করে গর্ভবতীদের সবদিক দিয়েই সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় এমনিও শরীরে বিভিন্ন বদল আসে। হরমোনের তারতম্য হতে থাকে। আর একবার সংক্রমণের ফাঁদে পড়লেই সন্তানের বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সময় নিজের এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
হবু মায়েদের জন্য যা যা করণীয়
১) পরিচ্ছন্নতা খুব জরুরি
খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। হাতে জীবাণু থেকে গেলে তা থেকেই সংক্রমিত হতে পারেন গর্ভবতী মহিলারা। তাই খাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিয়ে হবে। এমনকি বাথরুমে যাওয়ার পরেও প্রতি বার হাত সাবান দিয়ে ধোয়া উচিত। তবেই নানাবিধ সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে পারবেন হবু মায়েরা।
২) পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে হবে
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের নিয়মিত কাচা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরা উচিত। নয়তো ময়লা জামাকাপড় থেকেও সংক্রমণ হতেই পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গরম জলেই জামাকাপড় কাচা উচিত এই সময়ে। সুতির এবং ঢিলেঢালা পোশাকই পরুন। এখন অনেক দোকানেই প্রেগন্যান্সি পোশাক পাবেন। না হলে একটু বড় সাইজের ঢিলেঢালা পোশাক কিনুন। তাতেই আরাম পাবেন।
খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন
বর্ষার এই সময়টাতে কাঁচা স্যালাড না খাওয়াই ভাল। রাস্তার দোকান থেকে কেনা কাটা ফল, ফলের রস একদম খাবেন না। সব খাবারই অল্প তেলে সহজপাচ্য ভাবে রান্না করতে হবে। ভাজাভুজি, স্ন্যাকস এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। শাকপাতা খেলে ভাল করে নুন-গরম জলে ধুয়ে নেওয়া উচিত। না হলে পেটের রোগ হতে বাধ্য। যা মা এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়।
পর্যাপ্ত জল খান
সারাদিনে অন্তত তিন লিটার জল খেতে হবে গর্ভবতী মায়েদের। টাটকা ফল, ফলের রস, লস্যি, ডাবের জল প্রতিদিনকার ডায়েটে থাকা চাই। তবে চা-কফি কম খাওয়াই ভাল। অ্যালকোহল, বেশি মিষ্টি দেওয়া পানীয় খাওয়া ঠিক হবে না। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় অনেকের। তাই পর্যাপ্ত জল না খেলে সমস্যা হতে পারে।
বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখুন
গর্ভবতী মায়েরা যে ঘরে থাকছেন সেই ঘরটা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিছানার চাদর সময়ান্তরে বদলাতে হবে। বাসি খাবার, দূষিত জল থেকে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস-এর ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও জমা জল, নোংরা-আবর্জনা যেন না থাকে। না হলে মশার উপদ্রবও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy