Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Hearing loss in children

ছোট থেকে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনে শিশু? কানের কতটা ক্ষতি হচ্ছে, কী কী খেয়াল রাখবেন?

শিশুর বায়না থামাতে অনেক মা-বাবাই হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিচ্ছেন, অথবা ইয়ারফোনে গান শোনাচ্ছেন। এই অভ্যাস কিন্তু ছোট থেকেই শ্রবণশক্তির সমস্যা তৈরি করছে।

শ্রবণশক্তির সমস্যা হচ্ছে ছোট থেকেই, কী ভাবে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা?

শ্রবণশক্তির সমস্যা হচ্ছে ছোট থেকেই, কী ভাবে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা? প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৬
Share: Save:

শ্রবণশক্তির সমস্যায় ভুগছে অনেক শিশুই। কানে কম শোনা বা বধির হয়ে যাওয়ার উদাহরণও বাড়ছে। শিশু চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল জানাচ্ছেন, শ্রবণের সমস্যা জন্মগত হতে পারে, আবার অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণেও হতে পারে। আরও একটি বড় সমস্যা হল সারা দিন ইয়ারফোন বা হেডফোন গুঁজে রাখা। এখনকার শিশু ও কমবয়সিদের অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে, যা মারাত্মক ক্ষতিকর। শিশুর বায়না থামাতে অনেক মা-বাবাই হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিচ্ছেন, অথবা ইয়ারফোনে গান শোনাচ্ছেন। এই অভ্যাস ছোট থেকেই শ্রবণশক্তির সমস্যা তৈরি করছে।

চিকিৎসকের কথায়, অনেক অভিভাবকই জানাচ্ছেন, শিশু কানে কম শুনছে। কর্ণগহ্বরে সংক্রমণ নিয়েও শিশুকে নিয়ে আসেন অনেকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অন্তর্কর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কান পরিষ্কার করার সময়ে জোরে খোঁচাখুঁচি করা, ধাতব কিছু দিয়ে কানে ঢোকানো অথবা ইয়ারফোনে দীর্ঘ ক্ষণ উচ্চস্বরে কিছু শোনার কারণে এমন হতে পারে। একটানা ৮০ ডেসিবেলের উপর শব্দ যদি কানে যায়, তা হলে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। দেখা গিয়েছে, ৮০ ডেসিবেলের উপর শব্দ একটানা ১৫ মিনিটের বেশি শুনলে কানের পর্দা ফেটেও যেতে পারে। তা থেকেও কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

বাবা-মায়েরা কী ভাবে সাবধান থাকবেন?

১) কানের ময়লা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় তাই অযথা খোঁচাখুঁচি না করাই ভাল। কাঠি, পালক, পেনসিল বা বাড না ব্যবহার করাই উচিত। যদি প্রয়োজন হয়, তা হলে যথাযথ কানের ড্রপ ব্যবহার করাই দরকার।

২) শিশুর হাতে ইয়ারফোন বা হেডফোন দেবেন না। পড়াশোনার জন্য কিছু শুনতে হলে যদি ইয়ারফোন কানে লাগাতেই হয়, তা হলে একটানা নয়, বিরতি নিয়ে শোনা দরকার।

৩) উচ্চস্বরে শব্দ ‘অডিটরি প্রসেসিং ডিজ়অর্ডার’ বা এপিডি-র কারণ হতে পারে। এপিডি হলে শিশু বধির হয়ে যায় না, কিন্তু শব্দ শুনে তার মানে বুঝতে সমস্যা হয়। একই রকম শব্দ বা উচ্চারণ শুনে তার অর্থ আলাদা করে বুঝতে পারবে না শিশু। কেউ কোনও কথা বললে তা বুঝতেও সমস্যা হবে। ফলে গুছিয়ে কথা বলা, নির্দেশ মেনে কাজ করা বা শুনে মনে রাখা— কোনওটাই পারবে না শিশু।

৪) খুব বেশি শব্দ যেখানে, সেখানে শিশুর কানে ইয়ার প্লাগ লাগিয়ে দিন। বাড়িতেও উচ্চস্বরে গান চালানো বা শিশুর কানের কাছে খুব জোরে চেঁচিয়ে কথা বলাও ঠিক নয়।

৫) শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান দেহের ভারসাম্য রক্ষার কাজ করে। বিশেষত অন্তর্কর্ণ দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। উচ্চস্বরে শব্দ এই ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই সাবধান থাকতেই হবে।

৬) কানের ভিতর পুঁজ বা আঠালো তরল তৈরি হলে বা কানে ব্যথা হলে, ইচ্ছেমতো কানের ড্রপ ব্যবহার করা অনুচিত, ওগুলি ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা ও পদ্ধতি রয়েছে। অনেকে গরম তেল ব্যবহার করেন। তা-ও অনুচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কানে কিছু ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE