রোজ কেবল সাইকেল চালিয়েই মেদ ঝরানো সম্ভব!
কেউ শখে, কেউ বা আবার কাজের প্রয়োজনেই নিয়মিত সাইকেল চালাতে বাধ্য হন। কিন্তু সাইকেল চালানো শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলে জানেন কি?
ওজন ঝরাতে ভারী শরীরচর্চা থেকে শুরু করে হরেক রকম ডায়েট, কিছুই বাদ রাখি না আমরা। রোজ কেবল সাইকেল চালিয়েই মেদ ঝরানো সম্ভব! ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ নিয়ম করে আধ ঘণ্টা তীব্র গতিতে সাইকেল চালালে বিপাকহার অত্যন্ত বেড়ে যায়। ক্যালোরির খরচ বেশি হয়। এর ফলে শরীরের মেদ ঝরতেও সময় লাগে না। জোরে সাইকেল চালালে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচ হয়।
নিয়ম করে সাইকেল চালানোর উপকারিতা
১) কেবল শরীরের নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও এই অভ্যাসটি দারুণ কার্যকর। একাকীত্ব, মানসিক চাপ, উদ্বেগ— যেন কমবেশি সবাইকে ঘিরে ধরেছে। নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি সম্ভব।
২) চিকিৎসকদের মতে, সাইকেল চালানো খুব ভাল শরীরচর্চা। এই অভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
৩) বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নিয়মিত সাইকেল চালালে ক্যানসারের মতো মারণরোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। গবেষকদের দাবি, কেউ যদি নিয়মিত সাইকেল চালান, তা হলে তাঁর ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। যত বেশি সাইকেল চালানো যায়, এই আশঙ্কা তত কমতে থাকে।
৪) পেশির গঠন মজবুত করতেও এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত সাইকেল চালালে চোট-আঘাত লাগার সম্ভাবনাও কমে।
৫) সাইকেল চালালে স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। এই ব্যায়াম মস্তিষ্কে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে, ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
দিনের যে কোনও সময় সাইকেল চালানোই শরীরের পক্ষে ভাল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালবেলা সাইকেল চালাতে পারলে তা বেশি স্বাস্থ্যকর। সকালে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম থাকে, তাই ওজন ঝরানোর চেষ্টায় থাকলে সকালবেলা সাইকেল চালাতেই পারেন।
কাদের পক্ষে সাইকেল চালানো মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়?
যাঁদের হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে, তাঁদের সাইকেল না চালানোই ভাল। এ ছাড়া যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁদেরও সাইকেল চালাতে বারণ করেন। সাইকেল চালালে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy