শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের দিকে আমাদের নজর থাকলেও চোখকে আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। ছবি: শাটারস্টক
বয়স বাড়লে যেমন চুলে পাক ধরে, ত্বক শিথিল হয়ে যায় তেমনই চোখের স্বচ্ছ লেন্স ঝাপসা হয়ে আসে। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। অনেকেই স্বল্প দৃষ্টির সঙ্গে সমঝোতা করেই দিন কাটান। কিন্তু এর সুদুরপ্রসারী ফল হতে পারে মারাত্মক। দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের দিকে আমাদের নজর থাকলেও চোখকে আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। বয়স ৩০ পেরোলেই নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো উচিত। আগে থেকেই সতর্ক হলে ক্ষতি কি? বরং এড়ানো যায় অনেক বড় ঝুঁকি।
জেনে নিন, ৩০ এর পর চোখের কোন কোন পরীক্ষাগুলি করিয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
১) এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে মায়োপিয়া, হাইপারোপিয়া এবং প্রেসবায়োপিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। এই তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমেই আপনার দৃষ্টিশক্তির মান কেমন তা যাচাই করা হয়।
২) চোখের পেশিগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না সেই পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়াও ভাল।
৩) আপনার চোখ সঠিক রং চিনতে পারছে কি না সেটাও পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা আপনার সামনে রঙিন ছবি ধরবেন। আপনার দৃষ্টিতে সব রং ধরা পড়ছে কি না সেটা জানা ভীষণ জরুরি।
৪) চোখের মণি আলোতে ঠিকঠাক সাড়া দিচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করাতে হবে।
৫) অনেকের রেটিনায় ফুটো হয়ে যায়। নিয়মিত চোখের পরীক্ষা না করলে সেটা ধরাও পড়ে না! এর ফলে কমতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। বাড়ে অন্ধত্বের ঝুঁকি। সেই কারণেই আপনার চোখের বিভিন্ন স্নায়ুগুলি এবং রেটিনা ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা-ও পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy