Advertisement
E-Paper

মিষ্টি দেখলেই মনকেমন করে? ডায়াবিটিসের উপসর্গ না কি অন্য কোনও রোগের ইঙ্গিত?

সারা ক্ষণ মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে? সে প্রবণতা মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলে আমাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Image of sweets.

কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতে খুব ইচ্ছা করছে? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ১৯:৩১
Share
Save

কেন আমরা খিদে না থাকলেও খাই খাই করি বলুন তো? চলতি কথায় এটাকে বলে থাকি চোখের খিদে। আবার কখনও কখনও এমনটা হয় যে, কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। কোন খাবার খেতে ইচ্ছা করছে, তা আসলে নির্ভর করে আমাদের শরীরের উপর। বেসরকারি অফিসে কর্মরত রিতিকার মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বেড়েছে ইদানীং । অফিসে থাকলেই ঘন ঘন কেক, বিস্কুট, কুকিজের প্রতি হাতছানি, অফিস থেকে বেরোলেই বন্ধুদের সঙ্গে আইসক্রিম খেতে যাওয়া, আবার রাতে খাবার পর একটা মিষ্টি চাই-ই চাই! ব্যাপারটা মোটেও চোখের খিদে নয়। প্রতিটা বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে আমাদের শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। অনেক সময়ে দেখা যায়, খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে আমাদের অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে সারা ক্ষণ যদি মিষ্টি খাই খাই করি, তা কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলে আমাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

১) শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি হলে: আমাদের রোজের ডায়েটে প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ও ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। আর যত ক্ষণ পর্যন্ত একটা বড়সড় কালোজাম মুখের মধ্যে ফেলছেন, তত ক্ষণ শান্তি পান না।

২) ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমালে তবেই শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাদ্যটা কতটা প্রয়োজন, কোন খাদ্যটা আর খেতে ইচ্ছা করছে না— এই সবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই হরমোনের উৎপাদন মাত্রা কমে যায়। ফলে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

৩) মানসিক চাপ: মানসিক উদ্বেগ ও চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তাই চিনিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে।

৪) খনিজের ঘাটতি: পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি খনিজের অভাব ঘটলেও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।

৫) খাবারের মাঝে ব্যবধান: অনেকেরই স্বভাব দুপুরের খাবার খাওয়ার পর রাতে একেবারে খাওয়াদাওয়া করা। দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকার অভ্যাসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক কমে যায়। তখনও মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

Sugar Health sweet

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}