শিশুর শরীরে কৃমি বাসা বেঁধেছে? ছবি: সংগৃহীত।
কৃমির সমস্যা সবচেয়ে বেশি ভোগায় শিশুদের। পেটে ব্যথা, খাবারে অনীহা কিংবা মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রতি বেশি ঝোঁক কৃমির সমস্যাকেই ইঙ্গিত করে। কৃমি হল একটি ক্ষতিকর পরজীবী। দেহে ফিতা কৃমি, গোল কৃমি কিংবা বক্র কৃমির মতো বিভিন্ন ধরনের কৃমি দেখা যায়। তবে এদের মধ্যে যে কৃমি অন্ত্রে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কেই সবচেয়ে বেশি অবগত মানুষ। এই কৃমি অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে। কিছু খাবার আছে যেগুলি কৃমি কমাতে সাহায্য করে। সেগুলি শিশুকে খাওয়াতে পারেন। রইল তেমন কিছু খাবারের খোঁজ।
লবঙ্গ
অন্ত্রের কৃমি ডেকে আনতে পারে ক্ষুধামান্দ্য ও পেট ব্যথার সমস্যা। ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করতে চাইলে এক কাপ জলে তিন-চারটি লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই জল সারাদিন অল্প অল্প করে পান করতে পারেন। কারও কারও মতে লবঙ্গ কৃমি নষ্ট করার পাশাপাশি, কৃমির ডিমও নষ্ট করে।
রসুন
রসুন একটি কৃমিনাশক খাবার। কাঁচা রসুনে থাকে অ্যান্থেলমিন্টিক উপাদান, যা পেটের কৃমি মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এক সপ্তাহ প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দু’কোয়া রসুন খেলে কৃমির সমস্যা থেকে উপশম মিলতে পারে। আধ কাপ জলে দু’টি রসুনের কোয়া দিয়ে সিদ্ধ করে এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেও উপকার পাবেন।
মধু ও কাঁচা পেঁপে
পেঁপের মধ্যে পরজীবী নাশক গুণ রয়েছে। আফ্রিকায় করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পেঁপের বীজও কৃমি হ্রাস করতে সহায়তা করে। মধু ও কাঁচা পেঁপে একসঙ্গে খেলে কমতে পারে কৃমি। যাঁরা সরাসরি খেতে পারেন না, তাঁরা একগ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কাঁচা পেঁপে কুড়ানো মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy