শরীর খারাপ হতে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
ভাল খাবার খাওয়ার জন্য বাঙালির উৎসবের দরকার পড়ে না। বাঙালির হেঁশেলে রোজই খাদ্য উৎসব। শুধু বাড়িতে নয়, বাইরে বেরোলেও তেলমশলায় মাখামাখি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগে অনেকেরই। সেই ইচ্ছা সিংহভাগ সময়েই দমন করা যায় না। অফিসে একটানা কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই রোল, চাউমিন কিংবা তেলেভাজা খাওয়া হয়ে যায়। পছন্দের খাবার যেন আলাদা একটা তৃপ্তি দেয়।
এই সাময়িক তৃপ্তি যে জীবনহানির কারণ হতে পারে, তা অনেকেরই জানা নেই। আপাত মুখরোচক খাবার কত সমস্যা তৈরি করতে পারে, তা জানলে ভয়ে কেঁপে উঠবে বুক। ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তো আছেই, সঙ্গে হার্টের অসুখ, অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো রোগের আশঙ্কাও প্রবল। ধীরে ধীরে কমতে থাকে আয়ু। আপাত মুখরোচক খাবার যে কত সমস্যা তৈরি করতে পারে, তা জানলে ভয়ে কেঁপে উঠবে বুক। কোন খাবারগুলি খেলে জীবন ক্রমশ ছোট হয়ে আসতে পারে?
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত মাংস সবচেয়ে প্রথমে এই তালিকায়। অথচ এই ধরনের খাবার প্রায়শই খাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে বুঝতে না পারলেও, প্রক্রিয়াজাত খাবার চুপিসারে শরীরের ক্ষতি করে। সসেজ, বেকনের মতো খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস্
দ্রুত তৈরি হয়ে যায়। খেতেও মন্দ লাগে না। কিন্তু ইনস্ট্যান্ট নুডলস্ বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এই ধরনের নুডলসে অনেকটা পরিমাণ নুন থাকে। এর ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সেখান থেকেই শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সিরিয়াল জাতীয় খাবার
মুসলি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার দিয়ে প্রাতরাশ করেন কি? এ সবও কিন্তু কমাতে পারে আয়ু। কারণ, এতে থাকে অতিরিক্ত চিনি। তা স্থূলতা, ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাড়ায়। তাতেই কমতে থাকে আয়ু।
চিপ্স, চানাচুর
সন্ধেবেলায় অফিস থেকে ফিরে আয়েশ করে বসে চায়ের সঙ্গে চিপস্, চানাচুর খেতে মন্দ লাগে না। তবে এ ধরনের খাবার শরীরের ক্ষতি করে। চিপ্স, ভাজাভুজিতে নুনের পরিমাণ বেশি। তাতেই হয় শরীরের ক্ষতি।
বার্গার
চটজলদি খিদে মেটাতে বার্গার বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু নিয়মিত বার্গার খাওয়াও ক্ষতিকর। এতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা থাকে অতিরিক্ত। সঙ্গে ক্ষতিকর ফ্যাটও যায় শরীরে। সে কারণে শরীরের ক্ষতি হয়। নানা কঠিন রোগেরও ঝুঁকি বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy