Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Diet After Festival

উৎসব মানেই বাইরের খাবার খাওয়া! পার্বণ শেষে পুরনো ছন্দে ফিরতে কেমন হবে খাওয়াদাওয়া?

উৎসবের আমেজে বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার প্রচুর খাওয়া হয়ে গিয়েছে এই সময়। সুস্থ থাকতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই উৎসব পরবর্তী খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার প্রচুর খাওয়া হয়ে গিয়েছে এই সময়।

বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার প্রচুর খাওয়া হয়ে গিয়েছে এই সময়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৪৮
Share: Save:

একে একে শেষ হচ্ছে প্রতিটি উৎসব। দীপাবলি পেরিয়েছে। ভাইঁফোটাও প্রায় শেষের পথে। উৎসবের ঘোর কাটিয়ে এ বার আগের ছন্দে ফেরা জরুরি। উৎসবে জমিয়ে হয়েছে ভূরিভোজ। সারা বছরের রোগা হওয়ার চেষ্টা উৎসবের আবহে খানিক থমকে গিয়েছিল। নতুন করে আবার পুরনো নিয়মে ফিরছেন অনেকেই। উৎসব মানেই অনিয়ম। বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার প্রচুর খাওয়া হয়ে গিয়েছে এই সময়। সুস্থ থাকতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই উৎসব পরবর্তী খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

কিছু দিন মিষ্টি থেকে দূরে থাকুন

দুর্গাপুজো থেকে মিষ্টি খাওয়া শুরু হয়েছে। সারা বছর মিষ্টি দূরে থাকেন, এমন অনেকেই এই উৎসবের আমেজে প্রাণ ভরে মিষ্টি খেয়েছেন। তবে এ বার খানিক রাশ টানা প্রয়োজন। মিষ্টিতো নয়ই, চা থেকেও বাদ দিন চিনি। দরকারে রান্নাতেও চিনি দেওয়া বন্ধ করুন।

উৎসব শেষে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।

উৎসব শেষে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রতীকী ছবি।

খাওয়ার পরিমাণ কমান

উৎসব মানেই তো ভূরিভোজ। দু’টো লুচির বদলে চারটে লুচি। উৎসব শেষে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। ভাল লাগলেও একসঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে নেবেন না। খিদে পেলে মুড়ি, বিস্কুটের মতো হালকা খাবার খান। ভাত, রুটি খান। তবে পরিমাণে কম।

মদ্যপান নয়

উৎসব-অনুষ্ঠানে অল্পসল্প সুরাপান হয়েই থাকে। উৎসবের পরে শরীর সুস্থ রাখতে মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। লিভারকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। পর পর এই অনিয়ম লিভার না-ও সইতে পারে।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেবল শরীরচর্চা করলেই হবে না। তার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে বদল। চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কোনও রকম বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে যা যা খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজন, তা খেয়ে নিতে হবে। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ ১৪ ঘণ্টা থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস। উৎসবের ভূরিভোজের পর এটা কিন্তু বেশ জরুরি। লাভজনকও।

খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখুন়

সকালে ভারী কিছু খেলে দুপুরে খানিক হালকা খাবার খান। রাতে তরল কিছু খেতে পারেন। সকালে হজমক্ষমতা উন্নত থাকে। বেলা বাড়লে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। ফ্যাট, ক্যালোরি আছে এমন খাবার কম করে খান। আবার প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এমন খাবার খেতেও কিন্তু ভুলবেন না। পেট খালি রাখতে উপোস করে থাকাও বোকামি। তাই নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া জোর দিন।

অন্য বিষয়গুলি:

Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy