বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে দিনের পর দিন ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত
মাঝেমাঝেই কোমরে ব্যথা হয়? একটানা অনেক ক্ষণ বসে থাকলে পিঠ থেকে কোমরের দিকে নামতে শুরু করে যন্ত্রণা? না, আপনি একা নন। এই সমস্যার ভুক্তভোগী অনেকেই। অফিসে একটানা আট-দশ ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করতে করতে মেরুদণ্ডের কাছে ব্যথা শুরু হয় অনেকেরই। পরিচর্যার অভাবে বয়স বাড়ার অনেক আগেই ব্যথাজনিত সমস্যা নাস্তানাবুদ করে ফেলে। বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে দিনের পর দিন ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই ভাল নয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্য অসুখ ডেকে আনে। সাময়িক আরাম মিললেও মূল অসুখ কোনও দিনই কমে না। জানুন কোন যোগব্যয়ামেই মিলবে সুরাহা।
সিদ্ধাসন: পা ভাঁজ করে বসতে হবে। চোখ বুজে ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকুন। হাতের তালু সোজা করে দুই হাঁটুর উপরে রাখুন। এ বার হাতে জ্ঞানমুদ্রা তৈরি করুন। শিড়দাঁড়া সোজা ও স্থির রাখুন। এই ব্যয়ামে হাঁটু, পায়ের পেশি নমনীয় হবে। শিড়দাঁড়ার ব্যথা কমবে।
সিটেড ক্রেসেন্ট: হাত জোড় করে উপরে তুলুন। বুক ভরে শ্বাস নিন। এ বার ডান দিকে হেলে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। প্রতি বার শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিরদাঁড়া যেন টান টান থাকে। ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ অবস্থায় ফিরে আসুন। একই পন্থা বাঁ দিকেও করতে হবে। চেয়ারে বসেও এই আসন করা সম্ভব। এই আসন নিয়মিত করলে কোমর, পিঠের ব্যথা কমবে।
অধোমুখ সবনাসন: প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ বার হাতের তালু দু’টিকে মাটিতে স্পর্শ করুন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে হাঁটু যেন ভাঁজ না হয়। আপনার কোমর বা পিছনের অংশ উপর দিকে উঁচু হয়ে থাকবে। অর্থাৎ, অধোমুখ সবনাসন করাকালীন আপনাকে দেখতে উল্টো ভি-র মতো লাগবে। এই ব্যয়াম করার সময়ে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে এবং পেশির জোড়ও বাড়ে।
পশ্চিমোত্তাসন: পা দু’টি সমনের দিকে টানটান করে বসুন। এ বার হাঁটু না ভাঁজ করে দু’হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। নাক হাঁটুতে ঠেকান। তবে হাঁটু কোনও ভাবেই ভাঁজ করলে চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy