গরম পড়তে না পড়তেই ঘামের দুর্গন্ধে টেকা দায়? ছবি: সংগৃহীত
ঘাম নিঃসরণ অতি প্রয়োজনীয় একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। ঘামের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ ও লবণ দেহের বাইরে নির্গত হয়। পাশাপাশি ঘামের মধ্য দিয়ে দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অতিরিক্ত ঘামের ফলে দেহে তৈরি হচ্ছে দুর্গন্ধ। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার বদল কমিয়ে দিতে পারে এই সমস্যা। দেখে নিন কোন কোন খাবার কমাতে পারে ঘামের দুর্গন্ধ।
১। জল: ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে পর্যাপ্ত জল পান করার কোনও বিকল্প নেই। অতিরিক্ত ঘাম হলে সমানুপাতে পান করতে হবে বেশি পরিমাণ জলও। শরীরে জল কমে গেলে বর্জ্য পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে বাড়ে দুর্গন্ধ। সাধারণ জলের পাশাপাশি ফলের শরবত, গ্লুকোজ, স্যালাইন ইত্যাদি পান করাও বেশ উপকারী। বিশেষ করে বাইরের গরম থেকে ফিরে ঠান্ডা জল না খেয়ে স্যালাইন বা গ্লুকোজ পান করতে পারেন। তবে এড়িয়ে চলুন ঠান্ডা পানীয় ও অতিরিক্ত চা-কফি।
২। দুগ্ধ জাত পদার্থ: টক দই ও ঘোল ঘামের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপযোগী। এই ধরনের খাবারে থাকে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি ত্বকে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে সরাসরি দুধ খেলে কারও কারও অসুবিধা হতে পারে। বিশেষত ফুল ক্রিম দুধ এড়িয়ে চলাই ভাল। এমনকি, দুধের কোলিন দুর্গন্ধের সমস্যা উল্টে বাড়িয়েও দিতে পারে।
৩। মাংসের বদলে শাক-সব্জি: গরম কালে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে বেশি খেতে হবে মরসুমি ফল ও শাকসব্জি। তেল মশলার পরিমাণ কমিয়ে সেদ্ধ খেতে পারলে বেশি উপকার মিলতে পারে। খেতে পারেন তাজা টমেটোর রস। টমেটোতে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট যা ঘর্মগ্রন্থিকে সঙ্কুচিত করে। তবে বাধাকপি, ফুলকপির মতো সব্জি এড়িয়ে চলুন। ভাজাভুজি খেতে হলে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল।
৪। আপেল সিডার ভিনিগার: ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে ও দুর্গন্ধ দূর করতে আপেল সিডার ভিনিগার বেশ কার্যকর। সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করার পাশাপাশি আপেল সিডার ভিনিগার নিয়মিত খেলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক থাকে যা কমিয়ে দেয় দুর্গন্ধ তৈরির আশঙ্কা।
৫। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: পরিপাকের সমস্যা হলে একদিকে যেমন বর্জ্য পদার্থ নির্গত হতে সমস্যা হয়, তেমনই গ্যাস অম্বল হলে বেড়ে যেতে পারে দেহের গড় তাপমাত্রাও। এই ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে আসতে পারে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। গোটাশস্য, ডালিয়া ও ওটের মতো খাবার সহজে হজম হয়। ফলে পরিপাকের সমস্যা কমে। খাওয়া যেতে পারে বেরি, অ্যাভোক্যাডো ও আপেল। তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy