একবারে অনেকটা ওজন ঝরালে বহু ক্ষেত্রেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ছবি: শাটারস্টক
কেউ অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলেছেন দেখলেই মনে হয়, তাঁর মতো করেই চেষ্টা করবেন। তিনি কী নিয়ম মেনে চলেছেন, তা মানার চেষ্টা করেন। শুনলেন তিনি কিটো ডায়েট করে ওজন ঝরিয়েছেন। ব্যস! সমাজমাধ্যমে দু-চারটে ভিডিয়ো দেখে আপনিও শুরু করলেন ডায়েট। ১৪ দিনেই ভাল ফলাফলও পেলেন। দেখলেন চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। আপনার মনে হতে পারে যে বেশ ভালই হল। কিন্তু এমন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ওজন ঝরলে ফল হতে পারে মারাত্মক। একবারে অনেকটা ওজন ঝরালে বহু ক্ষেত্রেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। হঠাৎ এই ওজনের ঘাটতি নানা ধরনের অসুস্থতার কারণও হয়। কোন ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়?
১) দ্রুত ওজন কমে গেলে অনেক সময়ে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ ওঠানামা করতে পারে। তা থেকে লিভারে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) পুষ্টির অভাবও ঘটে। কারণ ওজন ঝরানোর সময়ে অনেকেই খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আনেন। এর জেরে শরীরের ক্যালোরির মাত্রা হঠাৎ অনেকটা কমে যেতে পারে। যার কারণে অপুষ্টিতে ভুগতে পারেন। শরীরের উপর এই পরিবর্তনের ছাপ পড়তে পারে নানা ভাবে। অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, মাথা ঘোরানো, চুল উঠে যাওয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া— এই সবই অপুষ্টির লক্ষণ।
৩) মেদ কমানোর সময়ে বহু ক্ষেত্রেই ছাপ পড়ে পেশির উপর। ক্যালোরির পরিমাণ খুব কমে গেলে পেশির শক্তি কমতে পারে। যার ফলে পেশির ক্ষয়ও হয় অনেক সময়ে।
৪) হঠাৎ করে শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি হলে শরীর ‘উপবাস’ পর্যায়ে চলে যায়। ফলে শরীরের বিপাকহার অত্যধিক কমে যায়। দীর্ঘ দিন এমনটা চলতে থাকলে যে ওজন নিয়ে ডায়েট শুরু করেছিলেন, তার থেকেও বেড়ে যেতে পারে আপনার ওজন।
৫) লো কার্ব ডায়েট কিংবা নো কার্ব ডায়েট করলে শরীরে জলের ঘাটতি বেশি হয়। যা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, পেশিতে টানের মতো সমস্যা দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy