সাবুর হরেক গুণ ছবি: সংগৃহীত
সাবুদানা বাঙালি বাড়ির বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষত উপবাস ভঙ্গ করার সময় বা সকালের খাবার হিসাবে অনেকেই সাবু খেয়ে থাকেন। যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় সাবু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবু শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের দারুণ একটি উৎস। কিন্তু তা ছাড়াও সাবুদানার রয়েছে হরেক গুণ, বিশেষত নারীর স্বাস্থ্যরক্ষায় বেশ কার্যকর এই খাবার।
১। ওজন বাড়াতে: সাবুদানা স্টার্চ জাতীয় শর্করার খুব ভাল উৎস। ওজন বৃদ্ধি করতে চান এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সাবুদানা খুবই কার্যকর হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তেমনই একেবারে ওজন কমে যাওয়াও সুস্থতার লক্ষণ নয়। স্নেহ পদার্থের সুষম বণ্টনে সহায়তা করে সাবু।
২। গ্লুটেনমুক্ত খাদ্য হিসাবে: সাবুর মতো গ্লুটেন বিহীন খাদ্য উপাদান প্রকৃতিতে বিরল। গ্লুটেন এমন একটি উপাদান যা কিছু কিছু মানুষের দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। ফলে বর্তমানে অনেকেই গ্লুটেন মুক্ত খাবার খেতে চান। যেহেতু গম বা বার্লির মতো খাদ্যে গ্লুটেন থাকে, তাই তার বিকল্প হতে পারে সাবু।
৩। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য: সাবুদানাতে পরিমিত পরিমাণে ‘ফোলেট’ নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদানটি ভ্রূণের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। কারও কারও মতে, সাবু শিশুর জন্মের পূর্ববর্তী জটিলতা দূর করতেও সহায়তা করে।
৪। ঋতুস্রাবের সময়: ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীদের জন্য সাবু বেশ উপকারী হতে পারে। সাবুতে উপস্থিত ফোলেট লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। পাশাপাশি ঋতুস্রাবের পরও যে অল্প-বিস্তর রক্তক্ষয় বা ‘স্পটিং’ হয়, তা কমাতেও সাবু সহায়তা করে বলে মনে করেন অনেকে।
৪। স্বাদ ফেরাতে: সাবু সহজেই জিহ্বাতে অবস্থিত স্বাদকোরকগুলিকে উদ্দীপিত করে। ফলে রোগগ্রস্থ অবস্থা থেকে মুক্তির সময়ে মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে সাবু। পাশাপাশি উপবাস ভঙ্গ করতেও সাবু দারুণ কার্যকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy