ভাত খেলেও রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকবে না? ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি আর মাছ-ভাত। যেন একে অপরের পরিপূরক। পঞ্চব্যঞ্জনে সাজানো দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ, রাতের হালকা স্ট্যু কিংবা সকালে পুষ্টিকর জলখাবার— যা-ই থাকুক, পাতে দু’মুঠো ভাত না হলে যেন খাওয়াটাই মাটি। তা সে যে যতই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় দেখাক। মিলেট কিংবা ডালিয়া খেয়ে তো ছুটির দিন দুপুরে ভাতঘুম দেওয়া যাবে না! চিনা কিংবা মোগলাই খানা পাওয়া যায়, তেমন রেস্তরাঁয় গিয়েও ভাতের খোঁজ করেন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
তবে ভাতের সঙ্গে বাঙালির যতই নাড়ির টান থাকুক না কেন, চিন্তা কিন্তু থেকেই যায়। ভাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি। তাই যাঁরা ডায়াবেটিক, তাঁদের বেশি ভাত না খাওয়াই ভাল। একেবারে শরীরচর্চা না করলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাত খেয়েও কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে, বাজার থেকে কেনা সাধারণ বাঁশকাঠি, মিনিকিট কিংবা দুধের সর খেলে হবে না। বদলে খেতে হবে বিশেষ ধরনের কয়েকটি চাল।
কী ধরনের চাল খেলে রক্তে শর্করা বাড়বে না?
১) ব্রাউন রাইস
এই চালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। তাই এই চালের তৈরি ভাত খাওয়ার পর তা পরিপাক হতে অনেকটাই সময় লাগে। চট করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না বললেই চলে। ব্রাউন রাইসে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই ‘খাই খাই’ মনোভাব অনেকটাই রুখে দেওয়া যায়।
২) ব্ল্যাক রাইস
কালো চাল বা ব্ল্যাক রাইসে আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। কালো রঙের চাল দিয়ে তৈরি ভাত খেতে ইচ্ছে না করলে পায়েস বানিয়ে ফেলতে পারেন।
৩) জ্যাসমিন রাইস
প্রতিদিন খাওয়ার জন্য কালো, লাল বা ব্রাউন— কোনওটিই আপনার পছন্দের চাল নয়। বেশ তো, তা হলে জুঁইফুলের সুবাস-যুক্ত ঝরঝরে সুন্দর, সাদা জ্যাসমিন রাইস খেতে পারেন। এই চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৬৮। রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে না। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy