খুদেকে জল খাওয়ানোর সহজ পাঠ। ছবি: শাটারস্টক।
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তখন নানা ভাবে শরীর জানান দেয় যে, ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন আপনি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা সেগুলি বুঝতে পারি না। শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি। অনেক খুদেকেই জল খাওয়ানো দুরূহ ব্যাপার। অথচ জল কম খাওয়ার কারণে শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা রকম সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, গরমের সময় জল কম খাওয়ার জন্যই কিন্তু বেশির ভাগ শিশু সর্দিকাশি, ফ্লু, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। তবে, জল খেতে চায় না বলে শিশুদের দোষারোপ করে লাভ নেই। বাবা-মায়েদেরই ছোট থেকে জল খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। জেনে নিন, খুদেকে জল খেতে উৎসাহী করে তোলার কিছু সহজ উপায়।
১) বুঝিয়ে বলুন: বকুনি দিয়ে সব সময়ে কাজ না-ও হতে পারে। জলতেষ্টা পেলে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে, প্রস্রাব করতে গেলে অসুবিধা হতে পারে, হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে। এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে শিশুকে সচেতন করুন। শরীর অসুস্থ থাকলে ও স্কুলে যেতে পারবে না, খেলতে যেতে পারবে না— এই সব কথা বুঝিয়ে বলুন।
২) ফল ও সব্জিতে নজর: যে সব ফল বা সব্জিতে জলের ভাগ বেশি, সে সব খুদেকে বেশি করে খাওয়াতে হবে। মুসাম্বি, আনারস, তরমুজ, শসা— এই জাতীয় ফলে অনেকটা জল থাকে। এ ছাড়া, সবুজ শাকসব্জিতেও জলের পরিমাণ বেশি। জলের ঘাটতি পূরণ করতে এগুলি পাতে রাখতেই পারেন। শিশু শাকসব্জি খেতে না চাইলে রান্নার মধ্যে সেগুলি বুদ্ধি করে ব্যবহার করুন, যাতে সে ধরতেই না পারে।
৩) অভ্যাস তৈরি করা: জল খাওয়ার অভ্যাস চাইলেই এক দিনে করানো যায় না। শিশুদের সেই অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ওকে জল খাইয়ে দেওয়ার বদলে নিজের হাতেই খেতে দিন। ওর জল খাওয়ার জন্য আলাদা গ্লাস ও বোতল বরাদ্দ রাখুন। ঘুম থেকে উঠে সবার আগে জল খাওয়ানোর অভ্যাস করান। ছোট থেকে এই অভ্যাসগুলি তৈরি হলে একটা সময়ের পর সে নিজেই জল চেয়ে খেতে চাইবে।
৪) আপনাকে দেখেই শিখবে খুদে: ছোটরা দেখেই শেখে। তাই তার মধ্যে জল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে চাইলে আপনাকেও বার বার জল খেতে হবে। আর এই কাজটা তার সামনেই করতে হবে। তা হলেই শিশুর মধ্যে জল সম্পর্কে আগ্রহ জন্মাবে। আর তার পর সে নিজেই বোতল হাতে তুলে জল খেয়ে নেবে। তাই আজ থেকেই এই পন্থা অনুসরণ করতে ভুলবেন না যেন!
৫) খেলার ছলে জল খাওয়ান: অনেক সময়ে আদর করে, ভালবেসে তাদের বুঝিয়েও কাজ হয় না। তাদের বুদ্ধির সামনে কোনও ফন্দিফিকিরই কাজে লাগে না। তখন খেলার ছলে, গল্প বলে, মজা করে জলের বিকল্প হিসাবে ফলের রস, ডাবের জল, স্যুপ খাওয়ানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy