মানুষই পারে বায়ুকে বিষমুক্ত করতে। ছবি- সংগৃহীত
বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার এবং ধূলিকণার আক্রমণে প্রথম আক্রান্ত হয় ফুসফুস। কারণ, নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যাবতীয় অশুদ্ধি সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তার পর তা মিশে যায় রক্তের সঙ্গে। সেখান থেকেই নানা সংক্রমণ, অ্যাজ়মা, সিওপিডি-র মতো যাবতীয় রোগের শুরু হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ কিছু জিনিস প্রতিদিন করতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ফুসফুস ভাল রাখতে কী কী করবেন?
১) ধূমপান না করা
এত দিন পারেননি। কিন্তু এ বার পারতে হবে। কারণ, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দূষণ এবং ধূলিকণার দোষ যদি হয় ৬০ শতাংশ, তা হলে ৪০ শতাংশ দায় কিন্তু ধূমপানের। এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ ‘সিওপিডি’ বেড়ে যাওয়ার জন্যও দায়ী সেই ধূমপান। তবে সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশে পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু আক্রান্ত হন।
২) ব্যায়াম করা
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে ব্যায়াম করা আবশ্যিক। কিন্তু ফুসফুসের কার্যকারিতা ভাল রাখতে গেলে বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করার পাশাপাশি, তার কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে করা এই ব্যায়ামগুলি কাজ করতে করতেও করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, যে ব্যায়ামই করুন না কেন তা যেন পরিমিত হয়। অতিরিক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে অনেকের ক্ষেত্রেই কিন্তু হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া
জল খেলে শরীরের অর্ধেক রোগই সেরে যায়। বুকে জমা সর্দি বা কফ পাতলা করতেও সাহায্য করে জল। এ ছাড়াও শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ থেকে দূষিত পদার্থ বাইরে বার করার ক্ষেত্রে জলের ভূমিকা রয়েছে।
৪) ঘরের ভিতরের বাতাসের বিশুদ্ধ করা
বাইরে দূষণ চোখে দেখা গেলেও ঘরের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ধূলিকণাও কিন্তু আমাদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যে সব বাড়িতে পোষ্য থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখা, ভ্যাকিউম করার পাশাপাশি, এসি এবং ঘর পরিষ্কার যন্ত্র বা বাতাস পরিশোধন করার যন্ত্রগুলির দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
৫) ঘরে গাছ রাখা
অনেকেই অন্দরসজ্জার জন্য বাড়িতে ছোট ছোট গাছ রাখেন। ঘরে গাছ রাখলে যে শুধু দেখতে ভাল লাগে, তা নয়। ঘরে বিশুদ্ধ অক্সিজেনও ছড়াতে সাহায্য করে। বাতাস পরিশোধন করতে পারে এমন যন্ত্র যদি না রাখতে চান, সে ক্ষেত্রে এই গাছগুলি রাখতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy