ঘরে-বাইরে বাড়তে থাকা কাজের চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যা নতুন কিছু নয়। সরকারি-বেসরকারি, যেমন সংস্থাতেই কাজ করুন না কেন, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কমবেশি সকলকেই। যার প্রভাব পড়ে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। পুজোর আগে যে বোনাস পাওয়ার কথা ছিল, তা না পাওয়ায় সেই চাপ যেন আরও জাঁকিয়ে বসেছে। শারীরিক অন্যান্য জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা চোখে দেখা যায় না বলে তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকে। কিন্তু এই চাপ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও। বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত সমস্যাও। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কিছু অভ্যাসের উপর।
আরও পড়ুন:
রক্তে কর্টিজ়ল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে কী হতে পারে?
১) মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন হরমোন হল কর্টিজ়ল। তার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবিটিস, অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) হঠাৎ ওজন বেড়ে যেতে পারে কর্টিজ়ল হরমোনের প্রভাবে।
৩) কর্টিজ়ল শুধু মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয় না। অনিদ্রাজনিত সমস্যার জন্যেও দায়ী এই হরমোন।
কর্টিজ়ল হরমোনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী করবেন?
আরও পড়ুন:
১) ৩০ মিনিট রোদে বসতে হবে
সারা দিন বদ্ধ ঘরের মধ্যে বসে থাকলে মনমেজাজ এমনিতেই খারাপ হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সূর্যের আলো কর্টিজ়ল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই দিনের মধ্যে মাত্র আধ ঘণ্টা গায়ে রোদ লাগাতেই হবে।
২) সপ্তাহে ৩-৪ দিন শরীরচর্চা
হরমোন ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে বলেন চিকিৎসকেরাই। খুব পরিশ্রমসাধ্য ব্যায়াম না হলেও নিয়মিত হাঁটা, স্ট্রেচ করা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মতো কসরত কর্টিজ়ল ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
৩) ডিপ ব্রিদিং অভ্যাস করা
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিপ ব্রিদিং অভ্যাস করতে বলেন অনেকেই। সুখাসনে বসে, শান্ত এবং গভীর ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিকেই ডিপ ব্রিদিং বলা হয়। এই অভ্যাসে স্নায়ুর উত্তেজনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।