— প্রতীকী চিত্র।
একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। আবার অনেকেরই শরীর মুড়ে, পা বুকের কাছে রেখে ঘুমোনোর অভ্যাস। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর তাঁরাও অনেক সময় কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়সজনিত কারণ ছাড়াও এমন নানা কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তবে ব্যথার ওষুধ বা ইঞ্জেকশন ছাড়াও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে এই কোমরের ব্যথা যদি দু’তিন দিনের মধ্যে না কমে, সে ক্ষেত্রে তা অন্য কোনও রোগের লক্ষণ হলেও হতে পারে।
১) নিয়মিত শরীরচর্চা: কোমরের যন্ত্রণা শুরু হলে সেই সময় নড়াচড়া করাই মুশকিল হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, একটু কষ্ট করে যদি সাধারণ কয়েকটি যোগাসন, স্ট্রেচ করা যায়, আরাম মিলবে। ব্যথা কমলে সাঁতার বা এরোবিক্সও করা যেতে পারে। তবে এক দিনেই ফল মিলবে এমনটা আশা করা যায় না। নিয়মিত করলে উপকার পাওয়া যাবে।
২) ঠান্ডা, গরম সেঁক: চোট বা আঘাত লেগে যদি কোমরে ব্যথা হয়, সে ক্ষেত্রে বরফের ঠান্ডা সেঁক দিয়ে থাকেন অনেকে। যা রক্ত জমাট বাঁধা, প্রদাহের মতো সমস্যায় আরাম দেয়। অন্য দিকে গরম সেঁক রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৩) মন ভাল রাখা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথার সঙ্গে মানসিক চাপ বা অবসাদের যোগ রয়েছে। তাই সবার আগে মনের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কোমরে ব্যথা নিয়ে আসা ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের কোমরে ব্যথার কারণ হল অবসাদ।
৪) পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কার্যকলাপ জড়িয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম কম হলে কোমরের ব্যথা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। শরীরের বিভিন্ন পেশি, স্নায়ু সারা দিন কাজ করার পর এই সময়েই শিথিল হয়ে পড়ে। পরের দিনের জন্য রসদ সংগ্রহ করে ঘুমের মধ্যেই। তাই সুস্থ থাকতে গেলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি।
৫) দেহের ভঙ্গি বদল: সারা দিন হাড়ভাঙা খাটনির পর বিছানায় পিঠ দেওয়া মাত্রই কী ভাবে শুয়ে আছেন, সে খেয়াল থাকে না অনেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোয়ার ভুলেও অনেক সময়ে কোমরের উপর চাপ পড়ে। তাই সঠিক ভাবে শোয়ার অভ্যাস করতে হবে। একই ভাবে টেবিল-চেয়ারে বসার সময়েও মেরুদণ্ড সোজা করে বসার চেষ্টা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy