ঘাম হওয়া ভাল না কি খারাপ? ছবি: শাটারস্টক
এক এক জনের ক্ষেত্রে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা। কেউ কম ঘামেন, কারও আবার অতিরিক্ত ঘাম হয়। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শীতকালেও ঘামেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও হাত-পা ঘেমে যায় অনেকের। কিন্তু ঘাম নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না অধিকাংশই।
অনেক সময়ে ঘাম অস্বস্তির কারণও হয়ে ওঠে। অত্যধিক তাপমাত্রা ঘামের একমাত্র কারণ নয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে কোনও শারীরিক কসরত করলেও অনেকে ঘেমে যান। তবে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় নেই। শরীরের অতিরিক্ত জল এবং খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ঘামের প্রধান কাজ হল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। শরীর ঠান্ডা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘাম। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ও ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ঘাম সত্যিই প্রয়োজনীয়।
তবে যাঁদের খুব বেশি ঘাম হয় না, তাঁদের যদি হঠাৎ ঘাম হতে শুরু হয়, তা হলে কিন্তু তা চিন্তার বিষয়। কখন সতর্ক হবেন?
১) অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে শরীরের ভিতরের কোনও দুর্বলতা। তাই ক্লান্ত শরীরে প্রচণ্ড বেশি ঘাম হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২) ঘামের বিভিন্ন কারণ থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। থাইরয়েডের মাত্রা বাড়লেও কিন্তু ঘাম হয়।
৩) উদ্বেগের সমস্যা থাকলেও অতিরিক্ত ঘামের প্রবণতা দেখা দেয়। সাধারণ কোনও কাজের সময়েও হাত-পা ঘামতে থাকে। মাথাও ভিজে যায়।
৪) ক্যানসার রোগীদেরও ঘাম হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলে অতিরিক্ত ঘাম ভিতরের অবস্থা বুঝিয়ে দিতে শুরু করে।
৫) ঘামের সমস্যা হতে পারে হৃদ্রোগের ক্ষেত্রেও। তাই ঘাম বেশি হলে শুরুতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অতি জরুরি।
শরীরে কোনও রকম গোলমাল দেখলেই সতর্ক হন শরীরের ভিতরে কোন রোগ বাড়ছে, তা নির্ণয় করতে পারবেন চিকিৎসকই, তাই তাদের পরামর্শ নিন। বাড়িতে নিজে নিজে চিকিৎসা করাতে চাইলে কিংবা ওষুধ খেয়ে নিলেও শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy