ওজন ঝরাতে চাইলে খেয়ে উঠেই বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। ছবি: শাটারস্টক
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিপাক হার তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কমে যায়। তাই হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তবে ৪০ পেরিয়ে গেলে অনেকেই ওজন কমানো নিয়ে তেমন মাতামাতি করেন না। ওজন বেশি হয়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর বাড়তি চাপ প়ড়ে। ফলে হৃদ্রোগ এবং কিডনির সমস্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়াও ওজন বাড়লে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা লেগেই থাকে। তাই বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
রোজের কিছু অভ্যাস বাড়তি ওজনের জন্য দায়ী হতে পারে। বিশেষত বিকেল ৭ টার পর খাওয়াদাওয়ার উপর রাশ না টানলে বিপদ। না, ওজন কমানোর জন্য ৭ টার পর আর কিছুই খাওয়া যাবে না এমনটা নয়, তবে মাথায় রাখতে হবে কিছু নিয়ম।
১) বিকেল হলেই পেটে যেন ‘ইঁদুরছানা’ দৌড়তে থাকে। তাই কাজের ফাঁকে কখনও তেলেভাজা কখনও রোল, চাউমিন, কখনও আবার মোমো, বার্গার সাবাড় করলে তবেই হয় শান্তি! তবে আপনি যদি সারা দিন তিন-চার ঘণ্টা অন্তর অন্তর কিছু খেয়ে থাকেন তা হলে কিন্তু সন্ধেবেলা মারাত্মক খিদে পাবে না। আর খিদে পেলে পপকর্ন, মাখানা, চিঁড়েভাজা, স্যালাড খেতেই পারেন।
২) সন্ধের জলখাবার আমরা সব সময় অবহেলা করি! সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবারের পরিকল্পনা করলেও সন্ধের খাবারটা বেশির ভাগ সময়ই বাইরে থেকেই খাওয়া হয়। চেষ্টা করুন আড্ডা দিতে দিতে, টিভি বা মোবাইল দেখতে দেখতে না খাওয়ার। এতে বেশি খাওয়া হয়ে যায় অজান্তেই।
৩) খুব বেশি রাত করে ঘুমোনো স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। এতে খাবার ঠিক মতো হজম হয় না। রাত জাগলে ভুলভাল খাবার ইচ্ছাও বাড়ে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার চক্করে দেরি করে না ঘুমোনোই ভাল।
৪) রাতের বেলা খুব বেশি ভারী খাবার নয়। বিরিয়ানি, চাউমিন জাতীয় খাবার রাতে না খেয়ে দুপুরে খান। রাতে হালকা স্টু, রুটি-তরকারি খেতে পারেন। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়।
৫) ওজন ঝরাতে চাইলে খেয়ে উঠেই বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। খাওয়ার পর অন্তত ঘণ্টা দুয়েক সময় হাতে রাখুন, তার পরেই ঘুমোতে যান। এই সময় বাড়ির টুকিটাকি কাজ করতে পারেন, বাড়ির নীচে খানিকটা হাঁটাহাটি করলেও মন্দ হবে না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy