বর্ষায় চপ, শিঙাড়া খেয়েও ফিট থাকবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষার মরসুমে সন্ধ্যা হলেই যেন ভাজাভুজি খেতে মন চায়। হয় আলুর চপ-শিঙাড়া, আর না হয় ফ্রায়েড চিকেন বা ফ্রায়েড মোমো— কিছু না কিছু থাকেই বিকেলের মেনুতে। সন্ধ্যা হলেই খাবার সরবরাহকারী অ্যাপে ভাজাভুজি অর্ডার দেওয়া লেগেই থাকে। এক বার পছন্দের ভাজাভুজি পেলে কি একটা খেয়ে মন ভরে! পেট ভরলেও মন ভরে না। তার পরেই শুরু হয় অস্বস্তি। আপনার এই অভ্যাস কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, ওবেসিটির অন্যতম কারণ। তাই বলে কি ভাজাভুজি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে? মাঝেমধ্যে ভাজাভুজি খাওয়া যেতে পারে। তবে খাওয়ার পর মানতে হবে শর্ত। জেনে নিন সুস্থ থাকতে ভাজাভুজি খাওয়ার পর কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?
১) খুব বেশি ভাজাভুজি খাওয়ার পর শরীরে অস্বস্তি হয়? এ ক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ জলেই হতে পারে মুশকিল আসান। খাওয়ার ৩০-৪০ মিনিট পর হালকা গরম জল খান। জল খেলে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়ে যাবে। ফলে পেট ভার হয়ে থাকার সমস্যা মিটবে। রাতের বেলা খুব বেশি ভাজাভুজি না খাওয়াই ভাল।
২) ভাজাভুজি খাওয়ার পর শরীর চাঙ্গা রাখতে গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হজমে সাহায্য করে। তাই ভাজাভুজি খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে গ্রিন টি খেলে শরীরের অস্বস্তি ভাব দূর হবে।
৩) ভাজাঙুজি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যাবেন না, এতে অস্বস্তি আরও বাড়ে। হজমেও গোলমাল শুরু হয়। ভাজাভুজি খাবার খাওয়ার মিনিট কুড়ি পরে হাঁটুন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে।
৪) যে কোনও ভারী খাবার খেয়ে তার ১৫-২০ মিনিট পর প্রোবায়োটিক খাবার খান। সবচেয়ে ভাল উপকার পাবেন দই খেলে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। খাবারও চটজলদি হজম করায়। দইয়ের সঙ্গে ভাজা জিরের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। আরও ভাল কাজ দেবে।
৫) ভাজাভুজি খাওয়ার সঙ্গে আইসক্রিম, ঠান্ডা নরম পানীয় ভুলেও খাবেন না। এই সব খাবার হজমপ্রক্রিয়ায় বাঁধা দেয়, ফলে অস্বস্তি আরও বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy