কিছুই মনে থাকছে না? ছবি: শাটারস্টক।
শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমে গেলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপরেও। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি স্নায়ু সংক্রান্ত রোগের জন্ম দেয়। ‘নিউরোসাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার’, ‘নিউরোডিজেনারেটিভ’-এর মতো রোগ দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে গেলে মাল্টিপ্ল স্ক্লেরোসিস, অ্যালঝাইমার্স, পারকিনসন্স, নিউরোকগনিটিভ ডিজ়অর্ডারের মতো স্নায়ুর রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আগে থাকতে সাবধান হলে এ সব রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হয়েছে?
১) ভিটামিন-ডি-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলির মধ্যে একটি হল দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখা যাতে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয় দেহ। যদি ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন, তা শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
২) হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে খেয়াল করতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি কমে গিয়েছে কি না।
৩) হাড় এবং পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথা, অস্থিসন্ধিগুলির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির উপসর্গ হতে পারে।
৪) শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভাল ভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস এবং ক্লান্ত বোধ করেন তবে এটি ভিটামিন ডি-র অভাবের সূচক হতেই পারে।
৫) খিদে পেলেও খেতে ইচ্ছে করছে না। খিদে কমে যাওয়াও হতে পারে ভিটামিন ডি ঘাটতির লক্ষণ।
কেবল সূর্যরশ্মি থেকেই নয়, রোজের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু বদল আনলেও শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। শরীরে এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে ডায়েটে বেশি করে দই, দুধ, ছানা, মাছ, মাশরুম, ওট্স, পালং শাকের মতো খাবার রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy