শীতের আগেই কেন রুক্ষ হচ্ছে ত্বক? ছবি: শাটারস্টক।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি-এর জবাব নেই। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবেও এই ভিটামিনের কদর ভালই। ফ্রি র্যাডিকালস ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায় এই ভিটামিন। চুল ও ত্বকের যত্নেও ভিটামিন সি-এর কোনও তুলনা নেই। রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হলেই শুরু হয় নানা রকম সমস্যা।
শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারে না। রোজের খাবারের মাধ্যমেই এই ভিটামিন পৌঁছে যায় শরীরের কোষে কোষে। যে কোনও ধরনের লেবু, আমলকি, পেঁপে, টোম্যাটো, ক্যাপসিকাম, পেয়ারা, ব্রকোলি ইত্যাদি উপাদান খাবার পাতে যোগ করে ভিটামিন সি-এর জোগান বাড়াতে পারেন সহজে। কী দেখে বুঝবেন শরীরে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ভিটামিন সি-র?
দাঁতের সমস্যা: দাঁতের গোড়ায় ক্যালশিয়াম জমিয়ে রাখে ও মাড়িকে দুর্বল করে দেয় এই ভিটামিনের অভাব। তাই দাঁতের দীর্ঘ সমস্যা হলে ভিটামিন সি-এর অভাব হতে পারে।
চুল ওঠা: ভিটামিন সি-এর স্বল্পতা চুলের গোড়াকে আলগা করে ও চুল পাতলা করে তোলে। সহজেই চুল ঝরে এর অভাবে। চুলের যে কোনও প্রসাধনে তাই আমলকি, লেবুর উপাদান থাকে। কোনও অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন চুল উঠলে ভিটামিন সি-এর অভাব হতে পারে শরীরে।
ত্বকের বেহাল দশা: এই ভিটামিনের অনুপস্থিতিতে ত্বকে কোলাজেন সিন্থেসিস বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ত্বকের বাইরের স্তর (এপিডার্মিস) পাতলা ও ফ্যাকাশে হতে থাকে। ত্বকের নীচের রক্তজালকগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শীতকাল না হলেও ত্বক খসখসে দেখায়।
ঠান্ডা লাগা: আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় হঠাৎ হঠাৎ ঠান্ডা লাগলে সতর্ক হোন। ভিটামিন সি-র লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হতে পারে না। তাই শরীর কোনও জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। সহজে ঠান্ডা লাগেও এই কারণেই। ঘন ঘন জ্বরে ভুগলে, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে।
ঘা শুকোতে সময় লাগলে: শরীরে ভিটামিন স-এর জোগান কম হলে কোলাজের উৎপাদন ব্যহত হয়। ফলে কোথাও কোনও ক্ষত হলে সেই ক্ষত সহজে সারে না, অনেকখানি সময় লাগে। তাই ক্ষত দেরিতে শুকোলে ডায়াবিটিস ছাড়াও শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy