ভীষণ গরমে শরীর ঠান্ডা রাখুন। —ফাইল চিত্র।
স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গ্রীষ্মের ছুটি নেই। তাই কাজে বেরোতেই হবে। বাজার-দোকান না করলে খাওয়া হবে না। তাই সেটুকুও না করে উপায় নেই। কিন্তু এর বেশি আর কিচ্ছু না। শরীরচর্চা, যোগাসন বা জিমটুকু তবু ছাদের তলায় করা যায়। কিন্তু যাঁদের হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস, তাঁরা কী করবেন? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করা অভ্যাস। কিন্তু সকাল ৭টা-৮টার সময়েই রোদের যা তেজ হয়, তাতে সকালে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটার সময়ে এবং জরুরি কিছু বিষয় মাথায় রাখলে গরমের দিনেও ‘মর্নিং ওয়াক’ সহজ হয়ে উঠতে পারে।
১) ভোর অথবা রাত
শরীর সুস্থ রাখতে গেলে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। তবে এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে গেলে হাঁটতে হবে একেবারে ভোরবেলা। আর ভোরবেলা যদি ঘুম ভাঙতে না চায়, তা হলে বিকেল, সন্ধে বা খাওয়াদাওয়ার পর রাতেও হাঁটা যেতে পারে।
২) ছায়াঘেরা পথ
রাতে তাড়াতাড়ি না ঘুমোলে ভোরে উঠতে পারবেন না। তাই রাতে বেশি ক্ষণ জেগে থাকতে পারেন না। অতএব সকাল ছাড়া হাঁটার সময় সেই অর্থে নেই। কিন্তু এখন তো ৭টা বাজতে না বাজতেই রোদের তেজও বেড়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে খুব চড়া রোদ না থাকলেও তাপ থাকে। তাই হাঁটতে যদি হয়, তা হলে গাছ-গাছালির ছায়াঘেরা রাস্তা বা পার্ক বেছে নিন।
৩) জামায় একটু জল স্প্রে করে নিন
গরমে হাঁটতে খুব কষ্ট হলে জামায় একটু জল স্প্রে করে নিন। হাঁটার সময় পাশ দিয়ে হালকা হাওয়া দিলে গরমে খুব বেশি কষ্ট হবে না।
৪) ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে সানস্ক্রিন তো মাখেন। অনেকেই আবার গা-ঢাকা পোশাকও পরেন। কিন্তু হাঁটলে তো এমনিতেই গরম লাগে। তাই ঢিলেঢালা, সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫) হালকা জুতো পরুন
হাঁটা বা দৌড়নোর জন্য আলাদা জুতো পাওয়া যায়। পায়ের বা হাঁটুর ক্ষতি ঠেকাতে সেই সব জুতো পরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সাধারণ চপ্পলের চেয়ে এই ধরনের ‘ওয়াকিং’ বা ‘রানিং শু’ একটু ভারী হয়। তাই খুব গরম লাগলে তেমন জুতো না পরাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy