কাদের গ্লকোমা রোগের ঝুঁকি বেশি? ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও বয়সেই মানুষের চোখে থাবা বসাতে পারে গ্লকোমা। ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু না করলে এই রোগের কারণে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ চুপিসারে হানা দেয় চোখে। তাই চিকিৎসকেরা একে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন।
গ্লকোমা আসলে কী?
চোখের যে অংশ দিয়ে ফ্লুইড বা তরল প্রবাহিত হয়, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা কোনও একটি স্থানে জমতে শুরু করে। এর ফলে চোখের অপটিক নার্ভে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। যাকে ‘ইন্ট্রাঅকুলার প্রেশার’ বলা হয়। চাপ বাড়তে থাকলে দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে। যা পরবর্তী কালে অন্ধত্ব ডেকে আনে। গ্লকোমায় আক্রান্ত হলে একেবারে শুরুর দিকে রোগীর ‘সাইড ভিশন’ অর্থাৎ পাশের জিনিস দেখার ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। চোখের চারপাশে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। ক্ষতির শুরু কিন্তু সেখান থেকেই। সুতরাং কারও যদি ‘সাইড ভিশন’ ঝাপসা হতে শুরু করে, সে ক্ষেত্রে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, দেরি হলে জটিলতা বাড়তে পারে।
এই রোগের ঝুঁকি কাদের বেশি?
১) ৪০ বছরের উপরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই রোগের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
২) কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে, পরবর্তী সময়ে সেই ক্ষতস্থান থেকেও গ্লকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
৩) নিজের অথবা পরিবারের কারও ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লকোমার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। ডায়াবিটিস রোগের প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই চোখের উপর পড়ে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৪) পরিবারে কারও বা নিজের ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লকোমার আশঙ্কা বাড়তে পারে।
৫) যাঁরা নিয়মিত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নেন, তাঁদেরও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। যাঁরা ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy