মিষ্টির দোকানে গেলেই চোখে পড়ে হাঁড়ি হাঁড়ি দই। ছবি: শাটারস্টক
গরম কালে পেট ঠান্ডা রাখতে টক দই খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা। ভাত দিয়ে হোক বা ফল দিয়ে। কিংবা শুধুই। অথবা ঘোল করে। অনেকেই বাড়িতেই দই পেতে নেন। অনেকের কাছে আবার দই বানানো ঝক্কির কাজ। কিছুতেই দই বসে না কারও কারও হাতে। দই পাতলেই হল না, কোন পাত্রে দই পাতছেন সেটাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার উপরেই নির্ভর করে দই কতটা ভাল জমবে।
মিষ্টির দোকানে গেলেই চোখে পড়ে হাঁড়ি হাঁড়ি দই। টক দই হোক কিংবা মিষ্টি দই, মিষ্টির দোকানে দই বিক্রি হয় মাটির হাড়িতেই। তবে কেন এমনটা করা হয়, ভেবে দেখেছেন কি? নিছকই দেখতে ভাল লাগে বলে, না কি এর পিছনে রয়েছে কোনও স্বাস্থ্যকর উদ্দেশ্য?
১) মাটির পাত্রগুলি প্রাকৃতিক কাদামাটি দিয়ে তৈরি করা হয়, এতে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রনের মতো একাধিক খনিজ উপাদান থাকে। এই খনিজগুলি দইতে মিশে গিয়ে দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ আরও বাড়িয়ে দেয়।
২) মাটির পাত্রে দই পাতলে তাতে প্রোবায়োটিক বেশি মাত্রায় তৈরি হয়। প্রোবায়োটিক হল উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরমের সময় পেটের সমস্যা লেগেই থাকে, তাই রোজ খাওয়ার পাতে দই খেলে হজম ভাল হয়, পেটের সমস্যা কমে।
৩) দুগ্ধজাত খাবারে অ্যাসিড বা অম্লের মাত্রা বেশি থাকে। অনেকেই বলেন দই খেলে নাকি তাঁদের অম্বল হয়। মাটির হাঁড়িতে দই পাতলে দইয়ের সঙ্গে ক্ষারীয় উপাদান মিশে গিয়ে অম্ল ও ক্ষারের ভরসাম্য বজায় থাকে। ফলে অম্বলের সমস্যা হয় না।
৪) অনেকের হাতেই দই পড়তে চায় না। মাটির হাড়িতে একাধিক ছোট ছোট ছিদ্র থাকে এর ফলে দই খুব ভাল জমে। দই জল জল হলে খেতে স্বাদ লাগে না, মাটির হাঁড়িতে দই পাতলে দইয়ের জলভাব শুকিয়ে যায় ফলে দই খুব ভাল জমে।
৫) মাটির পাত্রে দই জমালে দইয়ের স্বাদও ভাল হয়। দোকানের মতো ঘন দইয়ের স্বাদ পেতে হলে মাটির হাঁড়িতেই দই জমাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy