সকালের জলখাবারে রাখতে পারেন সুজির উপমা। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে জলখাবারে দুধ-কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি কিংবা ওট্স না খেয়ে সুজি দিয়ে তৈরি যে কোনও পদ বেছে নিতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা। কেন? কারণ, সুজিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। অথচ, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। দিনের শুরুতে এমন খাবার খেলে সারা দিন কাজ করার মতো ‘বল’ শরীরে থাকবে।
শুধু কি তাই? পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষের বক্তব্য, “সুজিতে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই সহজে হজম করে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে ফ্যাট, প্রোটিন এবং নানা ধরনের ভিটামিন। ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জ়িঙ্কের মতো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খনিজও রয়েছে এই খাবারে। তাই পুষ্টিগুণের দিক থেকে সুজিকে এগিয়ে রাখাই যায়।” তবে গমজাত খাবার খেলে যাঁদের অ্যালার্জি হয়, তাঁদের সুজি না খাওয়াই ভাল।
সুজি খেলে শরীরের কী কী উপকার হবে?
১) যে হেতু সুজিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, তাই দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা রাখতে পারে এই খাবার। খাই খাই বাতিক থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বিকল্প হিসাবে সুজি বেছে নিতে পারেন।
২) কাজ করতে গেলে শক্তি চাই। সুজিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। তাই সকালের জলখাবারে সুজি দিয়ে তৈরি কোনও পদ থাকা শরীরের জন্য ভালই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বিপাকহার উন্নত করতে সকালের জলখাবারে সুজি দিয়ে তৈরি যে কোনও পদ বেছে নিতে পারেন।
৩) সহজে হজম হয়। তাই সুজি খেলে চট করে পেটের সমস্যা হয় না। হোলগ্রেনের মতো না হলেও সুজিতে ফাইবার রয়েছে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে সুজি।
৪) দেহের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে সুজি। কারণ, এই খাবারে ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক এবং ফসফরাসের মতো খনিজ রয়েছে।
৫) ইন্দ্রাণী বলেন, “ডায়াবেটিকদের জন্য সুজি ভাল। কারণ, সুজির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। তাই সুজি খাওয়া মাত্রই রক্তে শর্করার মাত্রা হু-হু করে বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। আবার স্থূলত্ব এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সুজির ভূমিকা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy