কেন কমছে না ভুঁড়ি ছবি: সংগৃহীত
যে কোনও শারীরিক গঠনই নিজের নিয়মে সুন্দর। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হতে দেওয়া ঠিক নয়। কারণ স্থূলতা ডেকে আনতে পারে একাধিক রোগ। আর তাই এখন অনেকেই শরীরের জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে তৎপর। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, দেহের অন্যান্য অঙ্গের মেদ ঝরে গেলেও কিছুতেই কমে না ভুঁড়ি। কেন এমন হয়?
১। বিপাক হার: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাক হার ধীর হতে থাকে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ধীর গতির বিপাক হার পেটের মেদ বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক সময়ে থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা ডায়াবিটিসের মতো একাধিক রোগ কমিয়ে দিতে পারে বিপাক হার।
২। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত শর্করা ও স্নেহপদার্থ সমৃদ্ধ খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে ভুঁড়ি। বিশেষ করে বাজারজাত ফাস্টফুড বেশি খেলে পেটের মেদ কমানোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেতে পারে।
৩। মানসিক চাপ: মানসিক চাপ শুধু মনের জন্যই খারাপ নয়। খারাপ শরীরের জন্যও। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এমনই একটি হরমোন কর্টিসোল। এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে পেটে মেদ সঞ্চিত হয়।
৪। অতিরিক্ত মদ্যপান: পরিসংখ্যান বলছে, যাঁরা নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করেন। তাঁদের পেটে মেদ জমে থাকার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। তবে শুধু বহিরঙ্গেই নয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শরীরের ভিতরের বিভিন্ন অঙ্গেও জমা হয় মেদ।
৫। শরীরচর্চার অভাব: ভুঁড়ি কমাতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। শুধু ঘাম ঝরানোই নয়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয় না। ফলে কমে মেদ। আর নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে ঘটে তার উল্টো।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy