সজনের নানা গুণ! ছবি: সংগৃহীত।
কুল দেখলে যেমন সরস্বতী পুজোর কথাই মনে হয়, তেমনই সজনে ফুলের সঙ্গেও যোগ রয়েছে বাসন্তিকার। কারণ, বসন্তকালেই গাছে সজনে ফুল ধরে। এই মরসুমে ভাইরাসঘটিত রোগের বাড়বাড়ন্ত হয় বলেই বোধ হয় প্রকৃতিও নিজের মতো করে তার সমাধান সূত্র প্রাকৃতিক জিনিসে দিয়ে রাখে। তাই বসন্তকালে সজনে ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ভিটামিন সি, এ, বি৬, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজে ভরপুর সজনে ফুল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এখন মনে প্রশ্ন উঠতে পারে উচ্ছে, করলার মতো খাবার ছেড়ে হঠাৎ সজনে ফুল খেতে যাবেন কেন? খাবেনই বা কী ভাবে? উত্তর দেওয়া রইল এখানে।
১) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
কোয়েরসিটিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে সজনে ফুলে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) প্রদাহ নাশ করে
শরীরে যে কোনও ধরনের প্রদাহ নাশ করতে সাহায্য করে সজনে ফুল। বাতের ব্যথা থেকে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ— সবেতেই কাজ করে এই সজনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ।
৩) শর্করা নিয়ন্ত্রণে
যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য মহৌষধ সজনে ফুল। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন, ক্ষরণ এবং কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই সজনে ফুল।
কী ভাবে খাবেন সজনে ফুল?
উপকরণ:
সজনে ফুল: ১ কাপ
ছোট করে কাটা আলু: ১ কাপ
টোম্যাটো কুচি: আধ কাপ
গোটা সর্ষে: ১ চা চামচ
পোস্ত: ২ চা চামচ
গোলমরিচ: ৪-৫টা
রসুন কুচি: ১ চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ২টি
প্রণালী
১) প্রথমে সজনে ফুলগুলো ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন।
২) এ বার ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য নুন দিয়ে ফুলগুলো ভিজিয়ে রাখুন।
৩) মিক্সিতে সর্ষে, পোস্ত গোলমরিচ এবং লঙ্কা বেটে নিন।
৪) কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হলে তার মধ্যে রসুন কুচি দিয়ে দিন।
৫) একটু ভাজা হলে কেটে রাখা আলুগুলো দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করুন। আলু ভাজা হয়ে এলে তার মধ্যে দিন টোম্যাটো কুচি, নুন। আধ কাপ জল দিয়ে কিছু ক্ষণ রান্না হতে দিন।
৬) একেবারে শেষে সজনে ফুলগুলো দিয়ে দিন। ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy