যে কোনও বয়সে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
ক্যানসার এমন এক অসুখ, যা যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, প্রাণের ঝুঁকি কমবে ততই। চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখ ধরা পড়তেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় বলেই এই রোগে মৃত্যুহার বাড়ে। রক্তের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতি দিন। এই রোগে আক্রান্ত হলেই অজানা মৃত্যুভয় গ্রাস করে সর্ব ক্ষণ। যে কোনও বয়সে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই ক্যানসারের আশঙ্কা বেশি। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের মধ্যে থাকা উপাদানগুলির অনিয়ন্ত্রিত গঠন ও বিস্তার হতে থাকে। সে লোহিত রক্তকণিকা হোক বা শ্বেত রক্তকণিকা হোক বা প্লেটলেট। সাধারণত ব্লাড ক্যানসারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটি হল অ্যাকিউট বা তীব্র এবং অন্যটি হল ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী।
কোন উপসর্গগুলি দেখলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
১) এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তাল্পতার জন্য দুর্বলতা, খাবারের অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে জল জমে যাওয়া, ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
২) দীর্ঘ দিনের জ্বর কিংবা ঘনঘন জ্বরে পড়া মোটেও ভাল লক্ষণ নয়।
৩) অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হলেও সতর্ক হোন।
৪) লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। লিভার ও প্লীহার আকার বেড়ে যাওয়াও রক্তের ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে।
৫) ডায়েট কিংবা শরীরচর্চা ছাড়াই অনেকটা ওজন কমে যাচ্ছে? হঠাৎ ওজন অনেকটা কমে যাওয়াও হতে পারে রক্তের ক্যানসারের লক্ষণ।
৬) হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা মানেই গাঁটের ব্যথা নয়। তাই এই উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।
৭) ঘুমের মধ্যে ঘেমে যান। এমনটা হলেও দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রক্তের ক্যানসারের ধরণ এক বার নির্ণয় করা গেলে তার পরে চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, রেডিয়োথেরাপি ইত্যাদি। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রোগ নিরাময়ের জন্য অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনও করা হয়ে থাকে। তবে সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy