চুল পড়ছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সালোঁয় গিয়ে বন্ধুরা চুলে নানা রকম কায়দা করিয়ে আসেন। দেখতে ভালই লাগে। মাঝেমধ্যে নিজেরও যে ইচ্ছে করে না, তা নয়। কিন্তু মাথায় চুল থাকলে তো! সারা বছরই চুল পড়ার সমস্যায় যে জেরবার! এই হারে চুল পড়লে কোনও কায়দাই করা যাবে না। ঘরোয়া টোটকা, নামী শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মেখেও এই সমস্যার কূলকিনারা করা যাচ্ছে না। তা হলে কি অন্য কোথাও গোল বাধল? ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, চুল পড়ার পিছনে শুধু রাসায়নিক প্রসাধনী বা চুল বাঁধার কায়দাই নয়, শারীরিক কিছু কারণও থাকে। জানেন সেগুলি কী?
১) হরমোনের হেরফের:
নতুন চুল গজানোই হোক বা চুল পড়া— দুইয়ের পিছনেই হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের হেরফের হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম-বেশি হলেও অনেক সময়ে চুল পড়ে। আবার, রজোনিবৃত্তির সময়েও হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সেই সময়েও চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে।
২) জিনগত:
চুল পড়ার আরও একটি কারণ হতে পারে জিন। নিয়মিত চুলের যত্ন নিয়েও অনেকের অল্প বয়সে চুল পড়ে যায়। মা-বাবার বংশে কারও অল্প বয়সে টাক পড়ার ইতিহাস থাকলে এমনটা হতেই পারে।
৩) বয়স:
নতুন চুল গজানোর যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীণ হয়ে আসে। সেই কারণেও কিন্তু চুলের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।
৪) ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
দীর্ঘ দিন ধরে রক্ত পাতলা করার ওষুধ কিংবা জন্মনিরোধক বড়ি খেলে চুল পড়তে পারে। এই ধরনের সমস্যা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও হয়।
৫) মানসিক চাপ :
মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অবসাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে চুল পড়া। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, স্ট্রেস হরমোন অর্থাৎ কর্টিজ়ল ক্ষরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে অতিরিক্ত চুল পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy