ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে জীবনধারায় কোন ৫ বদল আনতে হবে? ছবি: শাটারস্টক।
দিনে দিনে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের এই প্রকার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে ধূমপান না করলেও কিন্তু এই মারণরোগ থাবা বসাতে পারে শরীরে। ধূমপান করেন না বলেই যে আপনি এই রোগ থেকে সুরক্ষিত, এমনটা নয়। কী ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন, রইল তার হদিস।
১) পরোক্ষ ধূমপানের কারণে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। তাই সামনে কেউ ধূমপান করলে তাঁকে বারণ করুন, তা সম্ভব না হলে সেই স্থান থেকে দূরে চলে যাওয়াই ভাল।
২) কলকারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া, বাতাসে মিশে থাকা নানা ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। নিকেল, অ্যাসবেসটস, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক-সহ নানা মৌল দূষিত বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ সব মৌলের কারণেও ফুসফুসের ক্যানসার হানা দিতে পারে। ফুসফুসে ক্যানসার রোগের ঝুঁকি কমাতেও মাস্ক পরার অভ্যাস করুন।
৩) পরিবারে ক্যানসার আক্রান্ত রোগী থাকলে থাকলেও সতর্ক থাকতে হবে। জিনগত মিউটেশনের কারণেও ক্যানসার হয়। তাই পারিবারিক ইতিহাসে ক্যানসার থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা করানো জরুরি।
৪) আশেপাশে কারখানা বা রাস্তার ধারে বাড়ি থাকলে বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার লাগানোও একটি বিকল্প। ঘরে রেডন গ্যাসের মাত্রা পরীক্ষা করান বছরে দু’বার। এই গ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক।
৫) পেশাগত কারণেও ক্ষতিকর ধোঁয়ার শিকার হতে হয় অনেককেই। কারখানা-খনিতে কর্মরত কর্মীর, রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজে নিযুক্ত কর্মী, রাসায়নিক তৈরির ল্যাবরেটরিতে কর্মরত কর্মীদেরও ফুসফুসের ক্যানসারে হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এ সব কাজ করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ধোঁয়া ও দূষণ রোধে মাস্ক ব্যবহার করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy