পুষ্টিবিদদের মতে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম-ঋদ্ধ পদ খাদ্যতালিকায় বেশি পরিমাণে রাখলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হৃদ্যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম-ঋদ্ধ পদ খাদ্যতালিকায় বেশি পরিমাণে রাখলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। বাড়িতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন এমন রোগী থাকলে, রোজ খাওয়ার পাতে কী রাখবেন তা নিয়ে হয়রানির শেষ থাকে না। রইল এমন কিছু পদের হদিশ, যা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে জব্দ হবে রোগ-ব্যাধি।
১) জোয়ারের রুটি: এই রুটিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। এ ছাড়া গ্লাইসেমিক লোড কম হয় বলে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী। জোয়ারে পটাশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীরা পাতে জোয়ারের রুটি রাখতে পারেন। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখার গুণও আছে জোয়ারের।
২) রায়তা: গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে দই খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। হজমশক্তি বাড়াতে দই ভীষণ উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দই কিন্তু রক্তচাপও কমাতে পারে। দুপুরে খাবার পাতে এক বাটি টক দইয়ের রায়তা রাখতেই পারেন। পেঁয়াজ, শশা, গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রায়তা। তবে নুন, চিনি ভুলেও দেবেন না।
৩) দই-ঢেঁড়স: গ্রীষ্মের দিনে বাজারে গেলেই ঢেঁড়সের ছড়াছড়ি। ঢেঁড়সে ভাল মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে। তাই ঢেঁড়স রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। দই দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঢেঁড়সের তরকারি। দই ও ঢেঁড়সের যৌথ গুণে জব্দ হবে রোগ।
৪) রাজমা স্যালাড: বিকেলে জলখাবারে কী খাওয়া যায়, ভেবেই নাজেহাল? রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে তো ভাজাভুজি খাওয়ার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে বিকেলের জলখাবারে বানিয়ে ফেলুন রাজমার স্যালাড। রাজমায় পটাশিয়াম থাকে ভরপুর মাত্রায়। তাই রাজমা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ, লঙ্কা, টম্যাটো, লেবু, ধনেপাতা সামান্য বিট নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রাজমা স্যালাড। পেটও ভরবে আর স্বাস্থ্যের উন্নতিও হবে!
৫) মুগ ডালের চিলা: মুগ ডালে ভাল পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য মুগ ডাল বেশ উপকারী। বিকেলের জলযোগে খেতেই পারেন মুগ ডালের চিলা। ডাল বেটে তাতে পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা দিয়ে সামান্য তেলে পরোটার মতো সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চিলা। ধনেপাতা কিংবা রসুনের চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই সুস্বাদু পদ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy