ভিটামিন ডি-এর অভাব হচ্ছে কি না, বুঝবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টির জল গায়ে পড়ল কি না পড়ল শয়ে শয়ে হাঁচি পড়তে শুরু করল। সাধারণত আবহাওয়া বদল কিংবা সংক্রমণের কারণে চট করে ঠান্ডা লেগে যায় অনেকের। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যাকে খুব সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। রক্তে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে সংক্রমণজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে বোধ হয় শুধু মাত্র দাঁত, হাড়েরই সম্পর্ক রয়েছে। আদতে তেমনটা নয়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও ক্লান্তি কিংবা অবসাদের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে। আর কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক থাকতে হবে?
রক্তে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে যাচ্ছে কি না, বুঝবেন কী করে?
১) ক্লান্তি
ঘুম ঠিকঠাক হচ্ছে। অথচ শরীরে যেন মনে হচ্ছে এনার্জি নেই। দিনভর ক্লান্তি ঘিরে ধরছে। দুর্বল লাগছে শরীর। সে ভাবে কোনও কারণ ছাড়াই যদি ক্রমাগত ক্লান্তি ঘিরে ধরে, তা হলে তা কিন্তু ভিটামিন ডি-র অভাবের জন্য হতেই পারে।
২) হাড়ে ব্যথা
মূলত সূর্যালোকের উপিস্থিতিতে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন-ডি শরীরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হাড়ের সমস্যার অন্যতম কারণ। ঘন ঘন কোমরে ব্যথা হলে বা শরীরে অন্য অংশে হাড়ে ব্যথা হলে দেখতে হবে তা ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কি না। শুধু তা-ই নয়, পেশিতে টান ধরার সমস্যাও কিন্তু ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।
৩) ঘন ঘন সংক্রমণ
বয়স কম, এমনিতে তরতাজা হলেও অনেকেই আছেন, দু’দিন অন্তত জ্বর, নয় তো ঠান্ডা লাগা বা অন্য শারীরিক অসুস্থতায় ভোগেন। এর কারণ হতে পারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া কিন্তু ভিটামিন ডি-র ঘাটতিরই লক্ষণ।
৪) মনখারাপ
মনখারাপের সঙ্গে ভিটামিনের সম্পর্ক? আশ্চর্য মনে হলেও তথ্য বলছে, শরীরে যদি ভিটামিন ডি যথাযথ মাত্রায় থাকে, তা হলে মেজাজও ভাল থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে মন ও মেজাজের ওপর তার প্রভাব পড়ে। অবসাদের পিছনে ভিটামিন ডি-র ঘাটতিকেও দায়ী করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
৫) ক্ষত সারছে না
ক্ষতস্থান সেরে ওঠা ও নতুন চামড়া গজানোর ক্ষেত্রেও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে এই ভিটামিন পর্যাপ্ত মাত্রায় না থাকলে ক্ষতস্থান সেরে উঠতে দেরি হয়।
তবে একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, এই সমস্ত উপসর্গ অন্য আরও নানা কারণেই হতে পারে। তাই এই ধরনের কোনও সমস্যা হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাও জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy