বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। ছবি: শাটারস্টক
সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনও রকমে স্নান করে অফিসের জন্য ছুট। তাড়াহুড়োয় প্রাতরাশের বালাই নেই। অফিস পৌঁছনো মাত্রই খিদে, তাই বাইরের কচুরি আর তরকারিই ভরসা! দুপুরেও বাইরের খাবার। সন্ধেবেলায় আবার বন্ধুদের সঙ্গে পার্টির পরিকল্পনা, সেখানেও ভাজাভুজি, তেলমশলাদার খাওয়াদাওয়া। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, কর্মব্যস্ততার কারণে ঘরে ঘরে লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। রক্ত থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে লিভার। তাই লিভার সচল রাখতে কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষ করে কয়েক ধরনের খাবার ক্ষতি করতে পারে এই লিভারের।
অনেকের ধারণা, কেবল মদ্যপান করলেই লিভারের ক্ষতি হয়। এই ধারণা ভুল। লিভারের ক্ষতি এড়াতে চাইলে মদ্যপান না করাই শ্রেয়, তবে এ ছাড়াও বেশ কিছু খাবারের উপর লাগাম টানতে হবে।
১) মাফিন, কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ়ের মতো বেক করা খাবার লিভারের জন্য ভাল নয়। সকালের জলখাবারে অনেকেই পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে খান। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এই ফ্যাট নিয়মিত শরীরে গেলে কেবল ওজন বাড়ে না, লিভারেরও ক্ষতি হয়। রোজের খাদ্যতালিকা থেকে এগুলি একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে পরিমাণের উপর লাগাম না টানলে মুশকিল।
২) বাইরের ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার, চপ-কাটলেটের মতো খাবারেও ভরপুর ফ্যাট থাকে। নিয়মিত এ ধরনের খাবার পেটে গেলেই ফ্যাটি লিভার-সহ আরও নানা ধরনের লিভারের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
৩) মদ্যপান না করলেও অনেকেরই অতিরিক্ত সোডাযুক্ত পানীয়, নরম পানীয় খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই অভ্যাসও লিভারের অসুখ ডেকে আনে। যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাঁরা পার্টিতে গিয়ে এই সব পানীয়ে চুমুক দেন। এতেও কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতি হচ্ছে লিভারের।
৪) চিনি খেলেও লিভারের ক্ষতি হয়। সরাসরি চিনি খাওয়া তো ক্ষতিকর বটেই, এ ছাড়াও চিনি আছে এমন কোনও খাবার, যেমন, মিষ্টি, ক্যান্ডি, চকোলেট, কেক-পেস্ট্রি, ডোনাট নিয়মিত খেলে পরবর্তী কালে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) প্রত্যেক হেঁশেলেই ময়দা থাকে। ময়দার রুটি, পাউরুটি, লুচি, পরোটা কিংবা রোল, চাউমিন— এই সব খেতে কমবেশি সবাই ভালবাসেন। টিফিন হোক কিংবা রাতের খাবার, ময়দা রোজই খাওয়া হয়। কিন্তু লিভারের জন্য এগুলি মোটেও ভাল নয়। তাই ময়দার তৈরি খাবার রোজ না খাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy