অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ়। ছবি: সংগৃহীত।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অনুভূতি আলাদাই। তবে সন্তান গর্ভে আসার পর যে পরিবর্তনগুলি মায়ের শরীরে ক্রমশ দেখা দিতে শুরু করে, তার মধ্যে অন্যতম হল ওজন বেড়ে যাওয়া। বাড়তি ওজন দেখে অনেক মহিলাই হতাশ হয়ে পড়েন। ওজন নিয়ে চারপাশের লোকজনেরও মাথাব্যথা বেড়ে যায়। তাঁদের কটু কথাগুলি আরও অবসাদ বাড়িয়ে দেয় মায়েদের।
সম্প্রতি অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ় সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। অভিনেত্রী নিজেও মা হতে চলেছেন, আর সেই কারণে প্রথম প্রথম তিনিও নিজের বাড়তি ওজন নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন। তাঁর ওজন নিয়ে নানা লোকের নানা কথাও বেশ চিন্তায় ফেলেছিল ইলিয়ানাকে। তবে এখন ইলিয়ানা আর নিজের শরীর নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেন না। ইলিয়ানা লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাসে আমার শরীরে যে পরিবর্তনগুলি এসেছে, সেগুলিকে এখন আমি ভালবেসে ফেলেছি। এই যাত্রাটি আমার কাছে স্মরণীয়। আমিও মানুষ, মাঝেমাঝে আমারও মন খারাপ হয়, তবে আমার চারপাশের মানুষজন ভাল থাকার চেষ্টা করে যান প্রতিনিয়ত, তাঁরা আমাকে মনে করিয়ে দেয়, আমার ভিতরে ছোট্ট একটি প্রাণ বেড়ে উঠছে, তাই ওজন নিয়ে আমার না ভাবলেও চলবে। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হাসিখুসি থাকুন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন, শরীরের পক্ষে যা ভাল হয়, তা-ই করুন।’’
তবে সন্তান প্রসবের পর অনেকেই অভিনেত্রীদের দেখাদেখি দ্রুত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেন। অনেকেই ড্যাশ ডায়েট করতে শুরু করেন। তবে এই প্রবণতা মোটেই ভাল নয়। এতে সন্তানের স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব পড়ে। প্রসবের পর স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে কী ভাবে ওজন কমাবেন?
১) সবার আগে মনের মধ্যে একটি লক্ষ স্থির করুন যে, এক মাসে আপনি কতটা ওজন কমাতে চাইছেন। তার পর পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করতে পারেন। নেটমাধ্যমের উপর নির্ভব করে ডায়েট করবেন না।
২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিশুকে স্তন্যপান করালে ওজন কমে। তাই অনেক মা এখন ফর্মুলা দুধ খাওয়ান শিশুকে। ওজন ঝরাতে চাইলে নিয়মিত স্তন্যপান করাতে পারেন। তবে প্রথম তিন মাস কিন্তু আপনি ফলাফল দেখতে পাবেন না।
৩) ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিয়ে দিতে পারেন। কেক, বিস্কুট, ময়দার খাবার, প্যাকেটজাত জুস একেবারে বাদ দিয়ে দিন ডায়েট থেকে।
৪) চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা শরীরচর্চা শুরু করতে পারেন। মূলত যোগাসন, স্ট্রেচিং, হাঁটাহাঁটি দিয়ে শুরু করুন।
৫) বেশি করে জল খেতে হবে এবং ঘুমের চক্র যেন ঠিক থাকে, সে দিকে নজর রাখুন। সন্তানের কাজ সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy