ডায়েটের কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেগুলি মেনে চলা জরুরি। ছবি- সংগৃহীত ।
দ্রুত মেদ ঝরাবেন বলে শরীরচর্চার সঙ্গে ডায়েট করতে শুরু করেছেন। তাড়াতাড়ি ফললাভের আশায় খাবারের তালিকা থেকে অর্ধেক জিনিস বাদ দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা থাকে অনেকের। অনেকে আবার খাবারের পরিমাণও কমিয়ে দেন। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মাথা ঘোরার সমস্যা, ক্লান্তিও গ্রাস করতে পারে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ডায়েটের কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেগুলি মেনে চলা জরুরি।
১) পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন খান
রোগা হওয়ার ডায়েটে প্রোটিন রাখা বাধ্যতামূলক। সারা দিনে যে খাবার খাচ্ছেন, তার অর্ধেকটাই যেন প্রোটিনে সমৃদ্ধ হয়। প্রোটিন পেশি মজবুত করে। সেই সঙ্গে শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলে। প্রতি দিন অন্তত ০.৮ থেকে ১ গ্রাম মতো প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। চিকেন, মাছ, বিভিন্ন ধরনের ডাল, গ্রিক ইয়োগার্টে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এই খাবারগুলি খেতে পারেন।
২) খাবারের পরিমাণে হ্রাস টানুন
ওজন কমাতে চেয়ে না খেয়ে থাকা বোকামি। বরং সারা দিনে বার বার খান। শুধু নজর রাখুন পরিমাণের উপর। ঘড়ির কাঁটা ধরে খাবার খান। যখন খাচ্ছেন তখন মনোযোগ যেন খাবারের উপরেই থাকে। ভাল করে চিবিয়ে খান। এতে হজম ভাল হবে। আবার ওজনও ঝরবে দ্রুত।
৩) মিষ্টিজাত খাবার বাদ
ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে চিনি খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সরাসরি চিনি খাচ্ছেন না মানেই যে শরীরে শর্করা প্রবেশ করছে না, তা কিন্তু নয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, নরম পানীয়, নানা ধরনের ভাজাভুজিতে চিনির পরিমাণ বেশি। ওজন বেড়ে যাক তা না চাইলে এ ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
৪) পর্যাপ্ত জল
রোগা হবেন বলে খাবার কম খাচ্ছেন। জল বেশি করে খাচ্ছেন তো? ওজন কমাতে জলের ভূমিকা অকল্পনীয়। সারা দিন উপোস করে থেকেও রোগা হতে পারবেন না, যদি শরীরে জলের ঘাটতি থেকে যায়। তাই বেশি করে জল খান।
৫) ফাইবারযুক্ত খাবার
খাবারের তালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে শুরু করলে প্রথম দিকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। কারণ নতুন নিয়মের সঙ্গে শরীর মানিয়ে উঠতে পারে না। বিপাকহারেও পরিবর্তন আসে। ফলে মেদ ঝরতে সময় লেগে যায়। এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে পারে ফাইবারযুক্ত খাবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy