মন ভরে মিষ্টি খেলেও ওজন বাড়বে না! ছবি: সংগৃহীত।
শীতকাল মানেই কেক, পিঠে-পুলি-পাটিসাপটা, পায়েসের মরসুম। এই সময় শেষপাতে মিষ্টিমুখ না হলে অনেকের খাওয়াই সম্পূর্ণ হয় না। এ দিকে অনেকের আবার বাড়তি ওজনের কারণে মিষ্টি খাওয়া বারণ। নতুন বছরের সবে সবে জিম যাওয়া শুরু করেছেন। মিষ্টি খেয়ে সেই পরিশ্রম মাটি করতে চান না কেউই। তবে মিষ্টি দেখলেই যে আর নিজেকে সামলানো যায় না! তবে উপায়?
পুষ্টিবিদেরা কিন্তু মিষ্টির বিষয়ে একেবারে ‘না’ করে দেন না কখনওই। বরং শরীরে বাড়বাড়ি রকমের সমস্যা না থাকলে অনেক রোগীর পাতেই দিনে একটি মিষ্টি দেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা। তবে রাতেরবেলা নয়, বরং দিনের আলোয় মিষ্টি খেয়ে ফেললে শরীরের পক্ষে বিপাক কাজ সহজ হয়, বলছেন তাঁরা। শরীরের কথা ভেবে দোকানের রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ বাদ দিয়ে বাড়িতে বানানো কিছু মিষ্টি রাখতেই পারেন পাতে। রইল এমন কয়েকটি মিষ্টির হদিস, যা ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়ার মাঝে থেকেও খেতে পারেন আপনি।
ওট্স ফাজ: আধ কাপ ওট্স এবং এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ একটি কাচের শিশিতে ভরে এক কাপ দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার ও এক টেবিল চামচ মেপ্ল সিরাপ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কাচের বয়ামে ঢাকনা লাগিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। পছন্দের ফল ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে খেতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর মিষ্টি পদ।
মাখা সন্দেশ: দুধে লেবু চিপে ছানা বানিয়ে নিন ঘরেই। এ বার এই ছানা মেখে নিয়ে তাতে কয়েক চামচ মধু কিংবা ঝোলা গুড় মিশিয়ে নিন। সঙ্গে আমন্ড, কাজু, কিশমিশ, আখরোট কুচি ইত্যাদি মিশিয়ে দিন। এটি খেলে পেট ভরা থাকবে যেমন, তেমনই মিষ্টি খাওয়ার সাধও মিটবে।
তিল কিংবা নারকেলের নাড়ু: ডায়েট করলে চিনি থেকে দূরে থাকাই ভাল। তবে মাঝে মাঝে পরিমিত মাত্রায় গুড় খাওয়া যেতে পারে। তাই বাড়িতে গুড়ের মধ্যে নারকেল কিংবা তিল মিশিয়ে নাড়ু বানিয়ে রেখে দিন। খুব মিষ্টি খেতে মন চাইলে দিনে দু’ একটা নাড়ু খেতে পারেন।
মিষ্টি মাখানা: কড়াইতে ঘি দিয়ে মাখানাগুলি লালচে করে ভেজে নিন। এ বার একটি পাত্রে গুড় গরম করে তাতে সামান্য নারকেল কোরা ও সাদা তেল মিশিয়ে মাখানাগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার একটি থালায় এক একটি করে মাখানা তুলে দূরে দূরে রাখুন। ঠান্ডা হতে দিন। ঘণ্টাখানেক পরেই খেতে পারবেন মিষ্টি মাখানা।
ফ্রুট চাট: দইয়ের মধ্যে আঙুর, বেদানা, আপেলের মতো কিছু মরসুমি ফল কেটে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন সামান্য চাট মশলা। মিষ্টি খেতে মন চাইলে কিন্তু এই রকম ভাবে ফ্রুটচাট বানিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy