গ্যাস কমবে ঘরোয়া দাওয়াইয়ে। ছবি: শাটারস্টক।
বুকজ্বালা, বদহজমের সমস্যা বাঙালির নিত্যসঙ্গী। নিয়মের এ দিক থেকে ও দিক হলেই শুরু হয়ে যায় চোঁয়া ঢেকুর, বমি বমি ভাব। বাইরের খাবার খেলে তো বটেই, এমনকি, অনেক সময় ঘরের বানানো খাবার খেয়েও এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে অনেকেই সেই সময় ভরসা রাখেন ওষুধের উপর। চিকিৎসকদের মতে, ঘন ঘন গ্যাসের ওষুধ খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বরং পরবর্তী কালে এই অভ্যাসের কারণেই বড়সড় কোনও অসুখ হতে পারে। ঘরোয়া উপায়েও কিন্তু এই সমস্যার তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করা যেতে পারে। রোজের খাবারে কিছু বদল আনলেই পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন, কী কী খেলে উপকার পাবেন?
হলুদ: হেঁশেলে আর কোনও মশলা থাকুক বা নাই থাকুক, হলুদ কিন্তু থাকেই। সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে, ত্বকের জেল্লা ফিরে পাওয়ার জন্য অনেকেই হলুদের উপর নির্ভর করেন। তবে হলুদে ভরপুর মাত্রায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হজমের সসম্যা দূর করতেও ভীষণ কাজে আসে। রোজ রাতে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ গুলে খেতে পারেন, কিংবা সকালে খালি পেটে মধুর সঙ্গে কাঁচা হলুদ খেলেও উপকার পাবেন।
ঘোল: গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ঘোলের গ্লাসে চুমুক দেন। তবে গ্যাস, বদহজমের সমস্যা থেকে বাঁচতেও ঘোল কিন্তু দারুণ উপকারী। খাওয়ার পর এক গ্লাস ঘোল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। ঘোলের মধ্যে জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ আর পুদিনা পাতা মিশিয়ে খেলে আরও ভাল কাজ হয়।
আমলকি: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ইসবগুল, ওষুধ খেয়েও অনেক সময়ে উপকার হয় না। সেই সময়ে আমলকি কিন্তু বিশেষ ভাবে কাজে আসে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে আমলকি। হজমের সমস্যায় আমলকি ভাল দাওয়াই। খাওয়াদাওয়ার পর একটা আমলকিতে বিটনুন মাখিয়ে খেয়ে দেখুন ক’দিন, উপকার পাবেন।
ঘি: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাঁটি ঘিয়ের উপকারিতা অনেক। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। তার পাশাপাশি যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও ক্ষেত্রেও ঘি দারুণ উপকারী। ঘিয়ে থাকা বিউটাইরিক অ্যাসিড, পেটে কোনও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হলে তার মোকাবিলা করে।
জোয়ান: পেটের সমস্যার ঘরোয়া দাওয়াই হিসাবে অনেকেই জোয়ানের উপর ভরসা রাখেন। পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমি বমি ভাব, অম্বলের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে জোয়ান অনবদ্য। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ল্যাক্সাটাইভস থাকে। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়। কেবল খাওয়াদাওয়ার পরেই নয়, সকালে উঠে জোয়ান ভেজানো জল খেতে পারেন, বেশি উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy