বাজারজাত সস্তা-দামি পানীয়তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উপস্থিত থাকে, যা আমাদের দেহের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত
জাঁকিয়ে বসেছে গরম। সূর্যের চোখ রাঙানিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এই পরিস্থিততে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না। প্রচণ্ড আর্দ্রতার কারণে আমাদের এখন প্রচুর পরিমাণে ঘাম হচ্ছে। তার ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। শরীরে সেই জল ফিরিয়ে না দিতে পারলে কিন্তু মুশকিল। বাড়তে পারে সান স্ট্রোক কিংবা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে চিকিত্সকের বারণ না থাকলে সারাদিনে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
জলের ঘাটতি মেটানোর পাশাপশি শরীরকে ঠান্ডা রাখাও ভীষণ দরকার। এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন বিভিন্ন প্রকার পানীয়তে। তবে বাজারজাত সস্তা-দামি পানীয়তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উপস্থিত থাকে, যা আমাদের দেহের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। চিকিৎসকেরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, তেষ্টা মেটাতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রাকৃতিক পানীয়ের শরণাপন্ন হতে। এ ক্ষেত্রে কোন কোন পানীয় খাওয়া যাতে পারে?
ডাবের জল: ডাবের জলে ইলেকট্রোলাইটের খুব ভাল উৎস। গরমের দিনে নিয়মিত ডাবের জল খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। পেট ঠান্ডা থাকে। ডাবের জল শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়াও এই জলে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। গ্রীষ্মের দিনে ডাবের জল খেলে তাতে শরীর চাঙ্গা থাকে।
দইয়ের ঘোল: গরমের দিনে কম-বেশি সকলেরই হজমের সমস্যা লেগে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে এই সময়ে খাওয়ার পাতে টক দই রাখতে ভুলবেন না। নিয়মিত দইয়ের ঘোল খেতে পারলে আরও ভাল। সামান্য বিটনুন, ভাজা জিরে গুঁড়ো আর হিং দিয়ে দইয়ের ঘোল খেতে মন্দ লাগে না!
কাঁচা আমের শরবত: কাঁচ আম শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলি দূর করতে বেশ উপকারী। কাঁচা আমের শরবত খেলে শরীরে তাপপাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে। কাঁচা আম ভিটামিন এ, বি ১, বি ২ আর সি-তে ভরপুর। এ ছাড়াও এতে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। গ্রীষ্মের দিনে ত্বকের সংক্রমণ থেকে বাঁচতেও খাদ্যতালিকায় কাঁচা আমের শরবত রাখতে পারেন।
ছাতুর শরবত: ছাতুর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা জরুরি উপাদান। ছাতুর শরবত শরীরের উষ্ণতা ঝটপট কমিয়ে আনে, ফলে গরমের দিনে এর জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যা হলেও এই শরবত খেলে উপকার পাবেন।
আখের রস: গরমের দিনে আখের রস খুবই সহজলভ্য একটি পুষ্টিকর প্রাকৃতিক পানীয়। এতে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়ামের মতো উপাদান, যা শরীর চাঙ্গা করতে পারে খুব অল্প সময়েই। পাচনতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করতেও এটি দারুণ উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy