রোজের কোন অভ্যাসগুলি কমিয়ে দিচ্ছে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে কোন দিন কোন মিটিং, বাড়িতে ফেরার সময়ে বাজার থেকে ঠিক কোন কোন জিনিস নিয়ে যেতে হবে কিংবা প্রিয়জনের জন্মদিন— সব কিছু মনে রাখাটা একটু চাপের বিষয় বইকি।
ভুলে গিয়ে কথা না রাখতে পারার সমস্যা বা ভুলের জন্য কাজের ক্ষতি— কে-ই বা এ সব পোহাতে চায় বলুন! একটা সময় ধারণা ছিল, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই কমে স্মৃতির দৌড়, কিন্তু আধুনিক জীবনযাপনের চাপ সেই তথ্যকে কেবল বইয়ের পাতায় আটকে রেখেছে।
ভুলে যাওয়ার সমস্যা এখন কম বয়সেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। টুকটাক দোকান-বাজার থেকে কিছু আনার তালিকাই হোক বা দরকারি কোনও জিনিস সাবধানে গুছিয়ে রেখে পরে ভুলে যাওয়া— জীবনে চলার পথে মাথার কাজ চালানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোজকার কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলির কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানলে কর্মক্ষমতা বাড়বে মস্তিষ্কের।
১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা: অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস আমাদের মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে মন্থর করে দেয়। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভাল ভাবে কাজ করে। ঘুম থেকে উঠেও সূর্যের আলোতে খানিক ক্ষণ সময় কাটাতে পারলে ভাল, এতে মনমেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।
২. উচ্চশব্দে গান শোনা: কানে বড় হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারা ক্ষণ ল্যাপটপের সামনে মুখ গুজে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ় দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় আলোকিত পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলা হবে। অন্য কাজেও মনোযোগ কম দেওয়া হবে। ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়বে।
৪. একা থাকার অভ্যাস: এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজেদের জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যাঁরা কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তাঁরা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।
৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy