ডিটক্সেই ঝরবে ওজন। ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তায় বেরোলেই রোল, চাউমিন, মোমো, বিরিয়ানি, কবাবের হাতছানি। আর এই লোভের কারণেই কিন্তু শরীরের আনাচ-কানাচে জমছে মেদ। সঙ্গে লেগে রয়েছে পেটের গোলমাল, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা। ওজন ঝরাতে এবং পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শরীর ‘ডিটক্স’ করা প্রয়োজন। শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ বার করার প্রক্রিয়াই আসলে ডিটক্সিফিকেশন। পরীক্ষার আগে শরীর ফিট রাখতে, পেট ঠান্ডা রাখতে মায়েরা যে ঝোল-ভাতই খাইয়ে থাকেন, ডিটক্স ডায়েটের বিষয়টাও খানিকটা তেমনই। জল, ফলের রস জাতীয় খাবারই বেশি থাকে এই ডায়েটে। বেশি পরিমাণে জল খেলে এমনিতেই শরীরের বর্জ্য সহজে বেরিয়ে যায়। শর্করা ও ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিমাণে বাড়াতে হয় এ ক্ষেত্রে।
কী ভাবে শরীর ডিটক্স হবে?
১) রাতে এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ আদা কুচি, একটি শসা কুচি, ২ ইঞ্চি দারচিনি, একটি পাতিলেবুর রস ও অল্প মধু মিশিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে উঠে এই জল ছেঁকে নিন। সকালটা শুরু করতে হবে খালি পেটে এই ডিটক্স পানীয় খেয়ে।
২) সারা দিনে কতটা জল খাচ্ছেন, সেই পরিমাণের উপর কড়া নজর রাখুন। স্ট্রবেরি, শসা, কমলালেবু, মুসাম্বি, পুদিনা পাতা জলে ভিজিয়ে রেখে সারা দিন অল্প করে সেই জলে চুমুক দিতে থাকুন। শরীরে জলের চাহিদা মিটবে এই উপায়।
৩) এ ছাড়া শরীর ডিটক্স করতে মাঝেমাঝে ভেষজ চায়েও চুমুক দিতে পারেন। ভেষজ চায়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে।
৪) রোজ আপেল, নাশপাতি, তরমুজ, বেদানা, আনারস, মুসাম্বি জাতীয় ফল একটি করে খান। নিয়ম করে ডাবও খেতে পারেন রোজ। ওজন ঝরানোর ডায়েটে একটি করে ফল রাখতেই হবে।
৫) বিপাকহার বৃদ্ধি পেলে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াও দ্রুত হয়। বিপাকহার বাড়াতে রোজ সকালে শরীরচর্চা করতেই হবে। হাঁটাহাঁটি করা, যোগাসন করা কিংবা জিমে গিয়ে হালকা শরীরচর্চা করলে যে ঘাম হয়, তার মাধ্যমেও শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy