সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় পাতে থাকুক ওটস ছবি: সংগৃহীত
কিছুদিন আগেও এ দেশে বিশেষ প্রচলন ছিল না ওটের। কিন্তু হরেক রকম খাদ্যগুণের জন্য এখন ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে ওট খাওয়ার চল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ দ্রব্য ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ওট যেমন সহায়তা করে পুষ্টিতে তেমনই দূরে রাখে বেশ কিছু গুরুতর রোগ। দেখে নিন কী কী উপকার মিলতে পারে নিয়মিত ওট খেলে।
১। রক্তবাহের স্বাস্থ্য রক্ষায়: ওট খেলে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস পায়, ফলে কমে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস রোগের ঝুঁকি। পাশাপাশি ওটে থাকে অ্যাভেনানথ্রামাইড নামক এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে: ওটের খোলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। বিশেষত ওটে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক এক প্রকার ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ উপযোগী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
৩। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে: মধুমেহতে ভোগা রোগীরা কী খাবেন আর কী খাবেন না তা নিয়ে সর্বদাই চিন্তিত থাকেন। ডায়বিটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে ওট। পাশাপাশি ওটের ফাইবার বিপাক প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়ে দিতে পারে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি কমে।
৪। ওজন কমাতে: ওটে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ বেশ কম। পাশাপাশি যে হেতু ওট দীর্ঘ সময় পেটে থাকে, তাই খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ওট। ফলে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য ওট বেশ উপযোগী।
৫। স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতে: বিশেষজ্ঞদের মতে ওট ফাইবারে থাকে এমন কিছু উপাদান যা রক্তনালীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালীগুলি পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এতে হ্রাস পেতে পারে স্ট্রোকের আশঙ্কা। তবে মনে রাখবেন সবার শরীর সমান নয়। তাই যে কোনও খাবার বা পথ্য নিয়মিত খাওয়ার আগে একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy