কেবল ওষুধ না খেলেই যে মাইগ্রেনের হানা বাড়ে, এমনটা কিন্তু নয়।
মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে গা গোলানো কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসহ্য যন্ত্রণা, সঙ্গে হালকা জ্বর। এই উপসর্গগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীরকে কাহিল করে দেয়। শীত পড়তেই ঘরে ঘরে ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। এর সঙ্গে যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্টও, তা হলে তা এক প্রকার অসহনীয় হয়ে ওঠে।
কেবল ওষুধ না খেলেই যে মাইগ্রেনের হানা বাড়ে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং আমাদের নিত্য অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়ার হার। নিজের কোনও ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? চিকিৎসকদের মতে কোন কোন অভ্যাসের জেরে এই অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যায়, রইল তার হদিস।
অনিয়মিত ঘুম: রোজ কত ক্ষণ ঘুমোন? ঘুমের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতেই হবে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমোন। রাত জেগে ওয়েব সিরি়জ় দেখার অভ্যাসে খানিকটা রাশ টানুন।
চিনি: অতিরিক্ত চিনি আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খান, তবে পরিমিতি বোধ রেখে।
খালি পেট রাখা: দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। কাজেই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত। হাতের কাছে সব সময়েই শুকনো খাবার রাখুন।
কফির অভ্যাস: কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ তা বন্ধ করবেন না। হু-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। তাই কফি ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রয়োজনে ডায়াটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলুন।
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো: অফিসে একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ? মাঝেমাঝে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখ-মুখে জল দিয়ে আসুন, বসার আসন থেকে উঠে ঘুরে আসুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy