ঘুমোনোর আগে কী করতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।
দিনে-রাতে একটিই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়— কী করলে দেহের বাড়তি মেদ ঝরবে। কারণ, স্থূলত্ব বা দেহের বাড়তি ওজনের সঙ্গে অন্যান্য অনেক রোগের সম্পর্ক আছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস কিংবা লিভার, কিডনির সমস্যা— সবই চেপে বসতে পারে এই ওজনের জন্য। সেই কারণেই শরীরচর্চা করেন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খান। রুটিনে থাকার পরেও অনেক সময়ে ওজনে তেমন হেরফের চোখে পড়ে না। কী কারণে এমনটা হয়? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়া ছাড়াও দ্রুত মেদ ঝরাতে রাতে শোয়ার আগে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। জানেন, সেগুলি কী কী?
১) দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে সন্ধ্যা ৭টা-৮টার মধ্যে রাতের খাবার খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, রাতের খাওয়া এবং ঘুমোতে যাওয়ার সময়ের মধ্যে যেন অন্ততপক্ষে ৩ ঘণ্টার ব্যবধান থাকে।
২) কাজে বেরোনোর আগে ভাল করে খেয়ে যেতে পারেন না। তাই বাড়ি ফিরে যাবতীয় ভালমন্দ খাবার খেয়ে ফেলেন অনেকেই। এই অভ্যাস কিন্তু দ্রুত মেদ ঝরানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে রাতের খাবারে প্রোটিন এবং ফাইবার রাখতে হবে বেশি করে।
৩) ঘুমোনোর আগে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শোয়ার আগে এক গ্লাস হালকা গরম জল খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই টোটকা বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। নিয়ম করে খেতে পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪) প্রদাহজনিত সমস্যা বশে রাখতে অনেকেই হলুদ দেওয়া দুধ খান। ঠান্ডা লাগা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলেও এই পানীয় আরাম দেয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও এই পানীয়ের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৫) রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কোনও টোটকাতেই ওজন কমানো সম্ভব নয়। অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন। তেমন সমস্যা না থাকলে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে ফোন, ল্যাপটপ কিংবা টেলিভিশনের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। ঘুমোনোর আগে যাতে মাথায় কোনও রকম দুশ্চিন্তা না আসে, তার জন্য মেডিটেশন করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy