বছরের শুরুটা খুব সুখের হয়নি। প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন করে বাড়তে শুরু করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের নয়া রূপ, ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এক জন থেকে আর এক জনে, দ্রুত ছড়াতে থাকে সংক্রমণ। সংক্রমণের হার এত তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকায় চিন্তায় পড়েন অনেকেই। তবে কি করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়েও বেশ কঠিন হবে এই স্ফীতি, সে প্রশ্ন আসে অনেকের মনেই। এ বার বুঝি কেউই বাঁচবেন না করোনার হাত থেকে— এমন ধারণাও তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:
করোনার নতুন এই স্ফীতিতে সকলের পাশে থাকতে আনন্দবাজার অলাইনের তরফে শুরু হয় ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভ ‘ভরসা থাকুক’। এ সময়ে নিজেকে একা এবং অসহায় যেন না মনে করেন কেউ, সে ভাবনা নিয়েই প্রতি সোম থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছেন চিকিৎসক-অতিমারি গবেষক থেকে শুরু করে মনোবিদ-পুষ্টিবিদ, অনেকেই। লাইভ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জনের নানা প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ মনে করেন খুব তাড়াতাড়ি করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আমরা আবার আগের স্বাভাবিক পৃথিবী ফিরে পাব। কেউ মনে করেন, করোনা না গেলেও, তার ভয়াবহতা অনেকটাই কমে আসবে দ্রুত। কিন্তু প্রায় সকলেই মনে করেন, করোনার বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই। টিকাকরণ হয়ে গেলেও, এমনকি বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত। ব্রিটেনের মতো এখনই ভারতে মাস্ক না পরে চলাফেরা করার স্বাধীনতা আমরা পাচ্ছি না। তবে শুধু মাস্ক পরলেই করোনা আটকানো সম্ভব নয়। মাস্ক পরতে হবে নিয়ম মেনে। কোন ধরনের মাস্ক পরছেন, কী ভাবে পরছেন, কতক্ষণ পরছেন এবং খোলার সময়ে কী কী সাবধানতা নিচ্ছেন, সেগুলি সবই করোনা-যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এবং তাঁরা সকলেই ভরসা দিচ্ছেন, এই নিয়মগুলি ঠিকমতো মেনে চললে সংক্রমণের হার কমবেই।

কী বললেন তাঁরা গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন:
ভরসা মিথ্যা ছিল না। রাজ্যে তো বটেই, গোটা দেশেই সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমেছে। দিল্লি-মহারাষ্ট্র বা দক্ষিণ ভারতে যে সব অংশ সংক্রমণের হার এক সময়ে ছিল আশঙ্কাজনক, সেখানেও এখন পজিটিভিটির হার অনেকটাই কমেছে। ১ জানুয়ারি রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার হাজার ৫১২। তার পর থেকেই রাজ্যে হু-হু করে বাড়তে থাকে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তবে ২৪ জানুয়ারি সোমবার আবার পাঁচ হাজারের নীচে নামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৫৪৬। মঙ্গলবার আরও কমেছিল সেই সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২,৮৫,৯১৪। আশা করা যায় এই পর্যার স্ফীতি খুব তাড়াতাড়ি কমে পরিস্থিতি ফের কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে মাস্ক পরা ছাড়লে চলবে না।