পেটরোগা বাঙালির সারা বছর গ্যাস- অম্বলের সমস্যা। তাই কখনও দই, কখনও ঘোল, আবার কখনও ছাচই ভরসা। দই প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার। যা অন্ত্রের মধ্যে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনই উন্নত হয় বিপাকহার।
পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, নিয়মিত প্রোবায়োটিক খেলেই যে পেটের সব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনটা কিন্তু নয়। অতিরিক্ত প্রোবায়োটিক খেলেও যে হিতে বিপরীত হতে পারে, সে প্রমাণ মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, যাঁরা প্রায়শই ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল’ রোগে ভোগেন, তাঁদের জন্য প্রোবায়োটিক উপযুক্ত নয়।
আরও পড়ুন:
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবারে বায়োজেনিক অ্যামাইন্স থাকে। এই উপাদানটি স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে। কারও ক্ষেত্রে রক্তপ্রবাহ শ্লথ হয়ে পড়ে, আবার কারও ক্ষেত্রে তার গতি বেড়ে যায়। ফলে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার খেলে মাইগ্রেন বা মাথাধরার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার বেশি খেলে পরিপাকতন্ত্রে ‘হিস্টামিন’ নামক একটি উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই ‘হিস্টামিন’ তৈরি করতে পারে। রক্তে এই উপাদানটির মাত্রা বেড়ে গেলে কিন্তু অ্যালার্জি-জনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সংক্রমণজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।