ডিম খেয়েই ওজন ঝরান। ছবি:সংগৃহীত।
ওজন কমাতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয় না। জিমে যাওয়া, ডায়েট করা, শরীরচর্চা— পরিশ্রমের ত্রুটি রাখেন না কেউই। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার নিয়ম মেনে চলা তো আছেই। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপোস করাতেই বেশি ভরসা রাখেন অনেকে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, উপোস করে থেকে ওজন কমানোর ধারণা ভুল। বরং দ্রুত ওজন কমাতে ডিম খেতে পারেন বেশি করে। ডিমে রয়েছে ওজন কমানোর মন্ত্র। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিম মাত্রেই পুষ্টির অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস। ডিমে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সেলেনিয়ামের মতো উপকারী কয়েকটি উপাদান। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। শুধু সাদা অংশ বা শুধু ডিমের কুসুমের পরিবর্তে তাঁরা গোটা ডিম খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
দীর্ঘ ক্ষণ শরীরচর্চার পরে দুর্বল পেশি সবল করতে ডিম খাওয়া জরুরি। এ ছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে। রোজের পাতে ডিম রাখলে ওজন কমানোর কাজও সহজ হয়ে যাবে। তবে কী ভাবে ডিম খেলে দ্রুত রোগা হওয়া সম্ভব, রইল তেমন কয়েকটি রেসিপির খোঁজ।
স্যুপ
ডিম ভাজা, সেদ্ধ, অমলেট তো খাওয়া হয়-ই। তবে ডিম দিয়ে স্যুপও তৈরি করা যায়, তা অনেকেই জানতেন না। তবে শুধু ডিম নয়, এই স্যুপে থাকে ডালও। স্যুপের অন্যান্য উপকরণ হল, পেঁয়াজ, টোম্যাটো, আদাকুচি, হলুদ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো। ডালও ওজন কমাতে কম উপকারী নয়। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা সমস্যার নয়।
স্যালাড
ডিম দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর স্যালাডও। সেদ্ধ ডিম, মেয়োনিজ, সর্ষে, কুচি করে কাটা সেলেরি পাতা, পেঁয়াজ কুচি একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই স্যালাড তৈরি। সকালের জলখাবারে এই স্যালাড থাকলে ওজন কমবে দ্রুত।
স্টাফড ক্যাপসিকাম
ওজন কমাতে সাহায্য করে ক্যাপসিকামও। ডিম আর ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি হতে পারে সুস্বাদু এবং শৌখিন এক খাবার। সেদ্ধ ডিম আর নানা মশলা দিয়ে একটি পুর বানিয়ে নিয়ে ক্যাপসিকামের মধ্যে ভরে নিন। তার পর পুর ভরা ক্যাপসিকাম সেদ্ধ করে নিলেই তৈরি সুস্বাদু পদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy