টনসিলের ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রতীকী ছবি।
শীতে টনসিলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খেলেই এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয় মূলত। ঢোঁক গিলতে ব্যথা, কথা বলতে গেলে গলায় কষ্ট— এগুলি টনসিলের ব্যথার খুব সাধারণ লক্ষণ। টনসিলের ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে হাতের কাছে সব সময় চিকিৎসক মেলে না। সব সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো অবকাশও থাকে না। তাই ঘরোয়া উপায়েও অনেক সময় আস্থা রাখতে হয়।
নুন জল
উষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে ভেপার নিলে এই সমস্যা অনেকটা দূর হয়। কিংবা গার্গেলও করতে পারেন। নুন মেশানো গরম জল দিয়ে গার্গেল করলে জীবাণু দূর হবে। ফলে গলাব্যথাও অনেকটা কমবে।
হলুদ মেশানো দুধ
টনসিলের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী একটি পানীয় হল হলুদ মিশ্রিত দুধ। গলাব্যথা হলে শক্ত কোনও খাবার একেবারেই খাওয়া যায় না। এই সময় গরম দুধ খেলে গলায় আরাম পাওয়া যাবে। তবে শুধু দুধ না খেয়ে তাতে মিশিয়ে নিতে পারেন হলুদ। এর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যে কোনও জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
লেবু এবং মধু
ওজন কমাতে এই দুটি উপকরণের জুড়ি মেলা ভার। তবে মেদ ঝরানো ছাড়াও লেবু এবং মধু টনসিলের ব্যথা কমাতেও সমান উপকারী। এক গ্লাস উষ্ণ জলে গোটা একটি পাতিলেবুর রস, এক চা চামচ মধু ও অল্প নুন মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিনে তিন-চার বার খেতে থাকুন। গলাব্যথা বা টনসিলের কষ্ট কমবে অনেকটাই।
গ্রিন টি ও মধু
এক কাপ জলে আধ চা-চামচ গ্রিন টি ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন-চার এই চা খান। গ্রিন টি-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জীবাণুর সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যে কোনও প্রদাহ ও সংক্রমণে আরাম দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy