ব্যায়াম করার সময় অনেকেই কাঁধ, মেরুদণ্ড এবং বাহুর মতো অঙ্গগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। অথচ গোড়ালিকে শক্তিশালী করার কথা আমাদের অনেকেরই মাথায় থাকে না। গোড়ালি একটি জটিল সন্ধি, যা সারা শরীরের ভার বহন করে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব, ভুল ব্যায়াম করা, নিয়মিত উঁচু হিলের জুতো পরার অভ্যাস— এই সব কারণ গোড়ালিকে দুর্বল করে দিতে পারে। তা ছাড়া পায়ের পাতায় প্লান্টার ফাসিয়া নামের একটি লিগামেন্ট থাকে। সেখানে টান ধরলেই গোড়ালির ব্যথা বাড়ে। এই সমস্যাকে বলে প্লান্টার ফাসাইটিস। এর প্রধান উপসর্গ হল গোড়ালিতে ব্যথা। মূলত পায়ের ওই অংশে প্রদাহ তৈরি হলে এমন তীব্র যন্ত্রণা হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে গোড়ালিতে ব্যথা হয় অনেকেরই।

কী ভাবে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে?

১) গোড়ালির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হল ভীষণ জরুরি।

২) উঁচু ও শক্ত সোলের জুতো ব্যবহার করলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্যথা।

৩) নিয়ম করে বিশ্রামও নিতে হবে। অনেক সময়ে অতিরিক্ত বেশি হাঁটাহাঁটিও প্রদাহের কারণ হয়।

৪) ব্যথার তীব্রতা কমাতে গোড়ালিতে ঠান্ডা-গরম সেঁক দেওয়া যায়। প্রথমে ঠান্ডা সেঁক দিন, পর মুহূর্তে গরম সেঁক দিন।

কোন কোন ব্যায়াম করলে আরাম পাবেন?

১) দুই পা একসঙ্গে করে এবং হাত দুই পাশে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। গোড়ালির উপর শরীরের ভর দিয়ে পায়ের আঙুলগুলি মাটি থেকে তুলে নিন। সেই ভঙ্গিতেই সামনের দিকে হাঁটুন। দিনের যে কোনও সময় এই ব্যায়ামটি আপনি করতে পারবেন।

২) দুই পায়ের মাঝে সামান্য ফাঁক রেখে দেওয়ালের কাছে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার হাত দেওয়ালে রাখুন এবং আপনার পায়ের পাতার উপরে ভর দিয়ে উঠুন। আপনার শরীর সোজা রাখুন এবং ভারসাম্য বজায় রাখুন। কয়েক সেকেন্ড পর স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসুন। এটির ১০-১৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।