উপকারী হলেও রোগা হওয়ার পর্বে সব ফল রাখা যায় না। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকার সঙ্গে নিয়ম করে ফল খাওয়ার একটা দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। ফল হল সব উপকারী উপাদানের উৎস। ফাইবার থেকে শুরু করে প্রোটিন, কী নেই ফলে! বিশেষ করে ওজন কমানোর ডায়েটে ফল না রাখলে রোগা হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবে রোগা হওয়ার ডায়েটে কোন ফল রাখবেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। উপকারী হলেও রোগা হওয়ার পর্বে সব ফল রাখা যায় না। অন্য উপাদানের পাশাপাশি, ফলে গ্লুকোজ, ক্যালোরিও আছে। যেগুলি আবার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়েট চলাকালীন কোন ফলগুলি খাবেন, তা বাছাই করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১) যে ফলে ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ (জিআই) কম, ডায়েটে সেগুলি রাখতে পারেন। কারণ চেরি, আপেল, পেয়ারাও গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স একেবারে কম থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপও।
২) প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এমন ফল খান ডায়েটে। ওজন কমানোর পর্বে প্রোটিনের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টিবিদেরাও বলেন ওজন কমাতে চাইলে প্রোটিন বেশি করে খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তা ছাড়া দই, ছানা, বাদামের মতো প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গেও খেতে পারেন ফল। এতে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
৩) ডায়েট করছেন? তা হলে কখনও খালি পেটে ফল খাবেন না। সব সময়ে খাবার খাওয়ার পরে ফল খান। খালি পেটে ফল খেলেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকবে।
৪) ফলের মতো উপকারী খাবার নিঃসন্দেহে কম রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও একসঙ্গে একগাদা ফল খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ পরিমাণে কম হলেও ফলে গ্লুকোজ, ক্যালোরি রয়েছে। ফলে এগুলি শরীরে গেলে ওজন ধরে রাখা সহজ হবে না।
৫) বাজারচলতি ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফলের রস তৈরি করা হয় কৃত্রিম পদ্ধতিতে। তাতে ফলের সব স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তার চেয়ে গোটা ফল খান। বেশি উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy